আমি বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে চাই: এজিএস তৌফিক

প্রথম প্রকাশঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৫ সময়ঃ ৬:১০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:১০ অপরাহ্ণ

জয় প্রকাশ মন্ডল

ছাত্রদল প্যানেল থেকে চাকসুর’র নবনির্বাচিত এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। ছবি: ফেসবুক প্রোফাইল।

‘শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন সহজ নয়। কিন্তু তারা যে বিশ্বাস আমার ওপর রেখেছে, তার প্রতিদান আমি কাজের মাধ্যমে দিতে চাই’— কথাগুলো বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত চাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন তিনি।

প্রায় তিন যুগ পর গত ১৫ অক্টোবর ভোটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। সেই নির্বাচনে ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টি পদে জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে প্রধান তিন গুরুত্বপূর্ণ পদের একটি সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় এসেছে ছাত্রদলের প্যানেলে। আর এই জয়ের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

প্রতিক্ষণকে তৌফিক বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মঞ্চ চাকসু আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি শুধু একটি নির্বাচন ছিল না, এটি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব ও গণতন্ত্রের উৎসব ছিল। সামান্য কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও নির্বাচন সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল।’

চাকসু যেন নিয়মিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রাণ ফিরে পাক – এই আশাবাদ ব্যক্ত করে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিবছর এমন নির্বাচন আয়োজন করুক। শিক্ষার্থীরা যেন বারবার এমন উৎসবমুখর পরিবেশে নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে।’

ভোটের আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাঁর একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি ছিল। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন, শুনতেন তাদের সমস্যা। সেই সম্পর্কই যেন প্রতিফলিত হয়েছে ব্যালটে। এই প্রসঙ্গে তৌফিক বলেন, ‘আমি জানতাম শিক্ষার্থীরা আমাকে জানে, চেনে এবং বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস অর্জন সহজ নয়। তাই এই আস্থার প্রতিদান দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর লক্ষ্যও স্পষ্ট। তৌফিকের বলেন, ‘চাকসু হবে সকল শিক্ষার্থীর অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। আমি চাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে। দলীয় সীমা ছাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা আমার অঙ্গীকার।’

তৌফিকের মতে, ক্যাম্পাসের সমস্যা যেমন পরিবহন সংকট, আবাসন ঘাটতি ও একাডেমিক অসুবিধা—এসব সমাধানে বাস্তব উদ্যোগ নিতেই হবে। তাঁর স্বপ্ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রোল মডেল ক্যাম্পাসে রূপ দেওয়া, যেখানে রাজনীতি হবে উন্নয়ন, সহনশীলতা ও নেতৃত্বচর্চার প্রতীক।

দৃঢ় কন্ঠে তৌফিক জানান, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি দেখতে চাই এমন একটি জায়গা হিসেবে, যেখানে মতভেদ থাকবে কিন্তু সহাবস্থানও থাকবে। যেখানে ছাত্ররাজনীতি মানে হবে দায়িত্ববোধ, ইতিবাচক পরিবর্তন আর শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তব কাজ।’

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত

20G