ইউনেস্কো পুরস্কার পেল চলনবিলের ভাসমান স্কুল

প্রথম প্রকাশঃ অক্টোবর ২৫, ২০২৫ সময়ঃ ৭:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:০৮ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

চলনবিলের সৌরশক্তিচালিত ‘ভাসমান স্কুল’ ইউনেস্কোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ অর্জন করেছে। শিক্ষায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও আজীবন শেখার প্রসারে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কোর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী শত শত মনোনয়নের মধ্যে এ বছর তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে—বাংলাদেশের সিধুলাইয়ের ভাসমান স্কুল, আয়ারল্যান্ডের লার্ন উইথ নালা ই-লার্নিং প্রকল্প এবং মরক্কোর সেকেন্ড চান্স স্কুল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন প্রোগ্রাম। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি ২৭ সেপ্টেম্বর চীনের শানডং প্রদেশের কনফুসিয়াসের জন্মস্থান চুফু শহরে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।

সিধুলাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসমান স্কুলের নকশাকার মোহাম্মদ রেজোয়ান সংস্থার পক্ষে ট্রফি ও সনদ গ্রহণ করেন। চলনবিল অঞ্চলের সন্তান রেজোয়ান শৈশবে বর্ষাকালে স্কুল বন্ধ থাকার দুর্ভোগ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০২ সালে একটি নৌকাকে স্কুলে রূপান্তর করেন। তার এই উদ্ভাবনী উদ্যোগই বিশ্বের প্রথম ভাসমান স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

বর্তমানে সৌরশক্তিনির্ভর এসব স্কুল শুধু শিক্ষা নয়, গ্রামীণ এলাকায় লাইব্রেরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করছে। বর্ষায় পানিবেষ্টিত এলাকাতেও এই মডেল শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

ইউনেস্কো জানিয়েছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্থানীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়ায় সিধুলাইয়ের এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই মডেল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G