কেন চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করছে না জামায়াত
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেবল প্রাথমিক প্রার্থিতা প্রকাশ করেছে এবং চূড়ান্ত তালিকা এখনও ঘোষণা করেনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াত এখনও জোটগত সমন্বয় ও অভ্যন্তরীণ আসনবিন্যাস নিয়ে ভাবনায় সময় নিচ্ছে। এর ফলে দলটি ধীর ও সতর্ক কৌশল অবলম্বন করছে, যা আসন্ন নির্বাচনের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা একা নির্বাচন করব না; জোটগত সমন্বয়ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রার্থী নির্বাচনের সময় যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।’
সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘কিছু আসনে আমরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারব না; সেখানে জোট প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রাথমিক বাছাই ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণা ইতিমধ্যেই হয়েছে, তবে কিছু আসনের প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে, নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দাবি করছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম সীমিত করা।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।’














