প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তিন শর্তে আলোচনায় বসতে রাজি
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকরা তিন শর্ত পূরণে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। শনিবার শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষকরা আহত হন। পুলিশের হামলায় একজন শিক্ষকের দুটি পা ভেঙে গেছে, আর কিছু শিক্ষকের চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
শিক্ষক নেতাদের দাবি, মো. মাহাবুবুর রহমানসহ আটক পাঁচ শিক্ষকের মুক্তি, আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং পূর্বঘোষিত তিনটি দাবি পূরণের নিশ্চয়তা পেলে তারা আলোচনায় বসবেন। আন্দোলনের মূল দাবি হলো চাকরি ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ম ও ১৬তম বছরে উচ্চতর গ্রেডের নিশ্চয়তা।
শাহবাগে অবস্থানরত শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার শাহবাগে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে শিক্ষকরা জাদুঘর প্রাঙ্গণে থেমে যান। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকরা সরকারি ভবন অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করায় বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে দুই শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন, অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেওয়া হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, তারা ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।










