‘ধনী দেশগুলোকে ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৫ সময়ঃ ১০:৩০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৩০ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদীর পাড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কানাইনগর এলাকায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় জীবন-জীবিকা ও সুন্দরবন রক্ষায় এখনই জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। ধনী দেশগুলোকে ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। উদ্বাস্তু রোধ, খাদ্য–পানি–জমি ও মানবস্বাস্থ্য রক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন বরাদ্দের দাবি জানান তারা।

বক্তারা আরও বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ন্যায্য সবুজ জ্বালানি রূপান্তর ঘটানো ছাড়া জলবায়ু সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। লবণাক্ততা, নদীভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পরিবেশ, কৃষি ও মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষারও দাবি তোলেন তারা।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি তুলে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ‘ধরা’র কেন্দ্রীয় নেতা মো. নূর আলম শেখ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, জাহিদ হোসেন ব্যাপারি, ফারজানা বেগম, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, তরুণ পরিবেশযোদ্ধা মেহেদী হাসানসহ অনেকে।

প্রধান অতিথি নূর আলম শেখ বলেন, সারাবিশ্বে সাধারণ মানুষ বৈষম্য, জলবায়ু বিপর্যয় ও প্রকৃতিধ্বংসের প্রভাব টের পাচ্ছে। নদীভাঙন, সিডর–আইলার মতো ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের মানুষ বিপর্যস্ত। নিরাপদ পানির সংকট বাড়ছে। তাই জলবায়ু ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

জেলে নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার অভিযোগ করেন, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণে পশুর নদী প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে; লবণাক্ততা বেড়েছে সহনীয় মাত্রার ওপরে। নারী নেতা ফারজানা বেগম বলেন, লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে উপকূলে নারীরা জরায়ু ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন; জলবায়ু পরিবর্তন নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

তরুণ পরিবেশকর্মী মেহেদী হাসান বলেন, জলবায়ু উষ্ণতা ও উদ্বাস্তু সংকট মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের দাবি জানান তিনি।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ–৩০) সামনে রেখে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালি, নারী, তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের হাতে জলবায়ুকেন্দ্রিক নানা দাবির ব্যানার-ফেস্টুন শোভা পায়।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G