অর্থ আত্মসাৎ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অভিনেত্রী ও মডেল মেহজাবীন চৌধুরী এবং তাঁর ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বিচারক আফরোজা তানিয়া এ পরোয়ানা জারি করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহজাবীন।
রোববার মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মামলায় হাজিরার জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে আসামিরা আদালতে না আসায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পরে ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সেই পরোয়ানা জারি হয়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বাদী আমিরুল ইসলাম পূর্ব পরিচয়ের ভিত্তিতে ব্যবসায়িক পার্টনার হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে মেহজাবীনকে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা দেন। কিন্তু মেহজাবীন ও তাঁর ভাই দীর্ঘদিন কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগ না নিয়ে টাকা ফেরতের বিষয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাঁকে নানা অজুহাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি পাওনা নিয়ে কথা বলতে গেলে মেহজাবীন তাঁকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিলের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলেন। ওইদিন সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই এবং আরও চার-পাঁচজন তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। আমিরুলের অভিযোগ, তাঁকে বলা হয়—বাসার সামনে দেখা গেলে ‘মেরে ফেলা হবে’। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় গেলে পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
অন্যদিকে, ফেসবুকে মেহজাবীন লেখেন—অনলাইনে তাঁর নাম ব্যবহার করে ভিত্তিহীন মামলা-সংক্রান্ত খবর ছড়ানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের যাচাই ছাড়া কোনো সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
মামলার পরোয়ানা বাস্তবায়ন বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।