তিন ধরনের অবৈধ অভিবাসীরা দেশে ফিরতে পারবেন

প্রকাশঃ এপ্রিল ১২, ২০১৭ সময়ঃ ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

সৌদি অভিবাসন মন্ত্রণালয় ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় তিন ধরনের অবৈধ অভিবাসীরা ক্ষমার আওতায় দেশে ফিরতে পারবেন।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব কাজী নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীরা যদি কোনো ধরনের মামলায় অভিযুক্ত আসামি হন তবে তারা সৌদি সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত হতে পারবেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমত যারা সৌদি কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব আসার পর ইকামার (রেসিডেন্ট পারমিট) মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর নবায়ন করেনি; নিয়োগকর্তা পলাতক দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে; কাজের ভিসায় এসে কোনো কারণে সব কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছে, ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই; অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করেছে; তাছরিহ (অনুমতিপত্র) ছাড়া হজ করতে গিয়ে মামলা হওয়ায় ইকামা নবায়ন করেনি; কারো ডিপেনডেন্ট হিসেবে থাকার পর এখন অবৈধ অথবা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে মামলা হয়েছে; তাদের তিন মাসের মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এ জন্য যেসব অভিবাসীর মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট না থাকলে দূতাবাস থেকে আউটপাস (বিশেষ ট্রাভেল পাস) সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিস, সফরজেল অথবা ডিপোটেশন সেন্টারে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করার পর বিমান টিকেট কিনে দেশে ফেরত যেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত যারা হজ্ব, ওমরাহ, ট্রানজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করেছে এবং ইমিগ্রেশন বা পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আছে, তবে বর্তমানে কোনো কাগজপত্র সঙ্গে নেই এমন প্রবাসীরাও দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ তারহিল, সফরজেল অথবা ডিপোটেশন সেন্টারে যোগাযোগ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ট্রাভেল রেকর্ড বা বর্ডার নাম্বার সংগ্রহ করে, সেটা নিয়ে টিকেট করে দেশে ফিরতে পারবেন। তৃতীয়ত যারা হজ্ব, ওমরাহ অথবা ট্রানজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন এবং সব প্রমাণাদি (ভিসা নম্বর, বর্ডার নম্বর, ভিসার কপি) সঙ্গে আছে এমন প্রবাসীরা বিমান টিকেট নিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরে গিয়ে সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব অবৈধ অভিবাসীর পাসপোর্ট, ইকামা বা ইমিগ্রেশনে হাতের ছাপ নেই তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে ট্রাভেল পাসের জন্যে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্টের ফটোকপি অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে জমা করতে হবে। এসব কাগজপত্র না থাকলে মা, বাবা অথবা বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G