দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ বহাল থাকল জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৬, ২০২২ সময়ঃ ১০:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:১৫ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদন

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের এর দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ বহাল থাকলো।

আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে লিখিত জবাব দাখিল ও মূল মামলার শুনানির জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
আগে গত ৬ অক্টোবর জিএম কাদরের পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা এই মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

একই আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। একই বিষয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত বাদী নাফিজ মাহবুবের একটি মামলা সোমবার খারিজ করে দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির  প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।

এতে আরও বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।

সূত্র : বাসস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G