বাঙালির ঘুমন্ত হৃদয়কে জাগিয়ে তুলেছে এই উসমান বে

প্রথম প্রকাশঃ মে ২৮, ২০২৪ সময়ঃ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৪১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

অঢেল মুগ্ধতাকে সাথে নিয়ে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিপতি ওসমান গাজী ফিরে গেলেন নিজ দেশ তুরস্কে। বোরাক অজিভিট, আপনার চোখে তিনি নিছকই একজন অভিনেতা, কিন্তু অগণিত ওসমান ভক্তদের কাছে তিনি ভালবাসার ‘বে’। আবার অনেক ভক্তকে সেদিন ‘বেইম’ নামেও ডাকতে শুনেছি। অনেকে তাকে এক নজর দেখতে পেয়েছেন। আবার কেউ সেদিন দেখার সুযোগ পাননি। আপনার কাছে এসব আদিখেত্যা দেখানো ছাড়া আর কিছুই মনে না হতেই পারে। কিন্তু সেদিনের সেই অচেনা ছেলেটার অঝোরে কান্না দেখে সত্যিই বুক কেঁপে উঠেছিল! আপনি হয়তো বলবেন, ‘এ আর এমন কী! ওরা যাকে দেখে তার জন্যই এমন করে!’ তাহলে বলবো আপনি এখনও কিছুই বুঝতে পারেননি।

বোরাক, কোনো সাধারণ সেলিব্রেটি নন। তাঁর জন্য এত উন্মদনার পেছনের অন্য একটি গল্প আছে। যা আপনি শুনতে পাননি।

বর্তমান পৃথিবীজুড়ে চলছে মুসলিম নিধন। কোনো দেশ আর অবশিষ্ট নেই যেখানে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা চলছে না। আশা করি এতটুকু তথ্য আপনার জানা আছে। সেই বাস্তব ভয়াবহতার দাগ এখন বাংলাদেশেও উঁকি দিচ্ছে। সম্প্রতি ট্রন্সজেন্ডারের নামে সমকামিতার বিষ আমাদের আমজনতার মগজে ট্রান্সপার করার বেশ তোরজোড় দেখা গেছে। যদিও এ চেষ্টা আরও অনেক আগেই আমদানী হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে এখন।  এভাবে আরও অনেক অপসংস্কৃতি, মানসিক বিকারগ্রস্থ চিন্তাচেতনা দিয়ে আমাদের প্রজন্মকে নি:শেষ করার ষড়যন্ত্র চলছে দেশে এবং দেশের বাইরে।

আমরা কেন নামাজ পড়ি, আমরা কেন মদ খায় না, আমরা কেন অশ্লীলতাকে লালন করি না, আমাদের মেয়েরা কেন ঢেকে চলাফেরা করে; এরকম অজস্র কেন’র অপরাধে আজ আমরা অপরাধী।

তাই কী করে আমাদেরকে, আমাদের প্রজন্মকে নানারকম নিকৃষ্ট এবং বিকৃত রুচির নেশা ধরিয়ে দিতে পারবে, সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামবিদ্বেষীরা। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি মিডিয়ার বিরুদ্ধে এই একটি গুঞ্জন খুব করে শোনা যাচ্ছে। একবার কান পেতে শুনেই দেখুন না! এরা কি আমজনতার মনের খবর রাখে? আমাদের পছন্দ-অপন্দের কোনো মূল্য দেয়? ভাবটা যেন এমন, ‘তোদের  পাত্তা দেওয়ার কী আছে’? অথচ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের মিডিয়াকে দেখুন। পুরো চিত্রটা একদম দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এখন আর জলসা টিভি দেখার হিরিক নেই। সেই জায়গায় স্থান করে নিয়েছে একসময়কার তিন মহাদেশের অধিপতি সুলতান সুলেইমানের পিতৃপুরুষ ওসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ওসমান বে। এছাড়া আরও রয়েছে আর্তুগুল গাজী, সালাউদ্দিন আইয়ুবী, সুলতান মেহমেদসহ অসংখ্য সত্যঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিরিয়াল। যেখানে হারিয়ে ফেলা মুসলমানদের স্বর্ণযুগ সম্পর্কে মুসলিম তরুণ প্রজন্ম কিছুটা হলেও জানতে পারছে। এক্ষেত্রে প্রায় সবারই বিষ্ময়ের শেষ নেই। অবাক হয়ে শুধু মনে মনে একটা প্রশ্নই করছে, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা এত সাহসী ছিল?  তাহলে এতকাল কেন জানতে পারলাম না’? আবার অনেকে বলেই ফেলছে, ‘এত পড়াশোনা করলাম, অথচ ইসলামের স্বর্ণযুগ সম্পর্কে কিছুই জানানো হলো না! সুদূর তুরস্ক থেকে উড়ে আসা অভিনেতা বোরাক ওরফে ওসমান গাজী এজন্যই বাংলাদেশের আমজনতার কাছে এতটাই মূল্যবান।  যার ফলাফল ব্যস্ত রাস্তায় উপচে পড়া ভীড়! তিল ধারণের জায়গাটা পর্যন্ত ছিল না।

আপনি যেই হোন না কেন, হলফ করে বলুনতো, আপনার মনেও কি সামান্য প্রশ্নের উদয় হয়নি এখনও? কোনো সত্য আপনার কান পর্যন্ত এখনও পৌঁছেনি? তবে জেনে রাখুন বাংলার ঘরে ঘরে এখন কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার মর্মবাণী পৌঁছে গেছে। ঘুমপাড়ানী মাসিপিশীর ছড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণকে আর ঘুমিয়ে রাখা যাবে না। বাঙালি কখনও হারেনি, হারতে জানে না। ওসমান বে’রা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের হৃদয় জয় করছে এবং এভাবেই জয় করতে থাকবে।

                                           ——————————————————-

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G