অ্যাভোকেডো ফলের চাষ

প্রকাশঃ জুন ২৯, ২০১৫ সময়ঃ ৪:২৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:২৯ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

avokadoঅ্যাভোকেডো একটি ফলের নাম। নামটা বেশিরভার মানুষের কাছেই অপরিচিত।ফলটির রং হালকা সবুজ থেকে কালচে সবুজ।এ ফলের আদি জন্মস্থান মধ্য আমেরিকা।তবে বর্তমানে চট্টগ্রাম এবং বান্দরবান জেলায় সীমিত আকারে অ্যাভোকেডো চাষ হচ্ছে।

মাঝারি আকারের এ ফল গাছ ৮-১০ মিটার লম্বা হয়। গাছের শিকড় অগভীর। ফলের আকৃতি গোলাকার। জাতভেদে ফলের ওজন ২০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যাভোকেডো চাষের জন্য গড় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া সবচেয়ে উপযোগী। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও গাছ জন্মে,তবে ফুল ও ফল ধারণ ব্যাহত হয়।এ ফল চাষের জন্য দোআঁশ ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ উর্বর বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।

বীজের সাহায্যে অ্যাভোকেডোর বংশবিস্তার করা যায় অতি সহজেই। একটি বীজকে লম্বালম্বিভাবে ৪-৬ ভাগ করে কেটে লাগালে প্রত্যেক ভাগ থেকে চারা গজায়, অবশ্য সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক ভাগে ভ্রূণের অংশ থাকতে হবে।

অ্যাভোকেডো যেহেতু বহুবর্ষজীবী, সেজন্য চারা রোপণের জন্য উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে।যেন বন্যার পানি না ওঠে এবং প্রচুর রোদ থাকে। এক গাছ থেকে অপর গাছের দূরত্ব জাতভেদে ৮-১০ মিটার হতে হবে।

চারা কিংবা বীজ রোপণের আগে এক বর্গমিটার আয়তনের গর্ত খনন করে তাতে ২০ কেজি গোবর সার, ৩০০ গ্রাম টিএসপি এবং ২০০ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে ১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে। অ্যাভোকেডো গাছ অতিশয় ভঙ্গুর প্রকৃতির। এ জন্য বাগানের চারপাশে বায়ু প্রতিরোধী অন্যান্য গাছ লাগাতে হবে।

শীতের শেষভাগে অ্যাভোকেডো গাছে ফুল আসে এবং বর্ষা শেষে ফল পাকতে শুরু করে। জাতভেদে গাছপ্রতি ১০০-৫০০টি পর্যন্ত ফল হতে পারে। পাকা ফল ৫ ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় ৩০-৩৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

প্রতিক্ষণ/এডি/জুয়েল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G