এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জন গ্রেফতার

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৫, ২০১৮ সময়ঃ ১০:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৫২ অপরাহ্ণ

বিদেশে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুদকের একটি দল রাাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অন্য দুজন হলেন- এবি ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং ব্যবসায়ী সাইফুল হক।

এর আগে মুদ্রা পাচার আইনে ওই তিনজনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারি পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভটাচার্য সন্ধায় প্রিয়.কমকে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে দুদকের সহকারি পরিচালাক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলা নং- ৩০। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া অফসোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের আড়ালে ও কনসালটেন্সি ফি বাবদ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা পাচার করে। এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করে এবং পরে তা আত্মসাৎ করে।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও মুদ্রা পাচার আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আত্মসাতের ওই ঘটনা যখন ঘটে, ওয়াহিদুল হক তখন ব্যাংকের চেয়ারম্যান। কথিত ওই বিনিয়োগ এবং অর্থ আত্মসাতের নেপথ্যে ব্যাংকের গ্রাহক আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজের সাইফুল হকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মামলার এজাহারে দুদক উল্লেখ করে।

এক সময় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে কাজ করা সাইফুলের এবি ব্যাংকে কোনো অংশীদারিত্ব নেই। তবে তিনি বিয়ে করেছিলেন ওই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের দ্বিতীয় মেয়েকে। ফলে ব্যাংকের অনেক কাজেই সাইফুলের প্রভাব ছিল।

এজাহারে বলা হয়, ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনার নির্দেশে কোনো যাচাই-বাছাই না করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে এবি ব্যাংকের ট্রেজারি শাখার কর্মকর্তা নুরুল আাজিম ২ কোটি ডলার ব্যাংকের চট্টগ্রামের ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাঠানোর আদেশ দেন লোকমানকে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে চেং বাও জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি নামের এক কোম্পানির নামে পাঠানো ওই ২ কোটি ডলার আবুধাবির একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যায়। সেখান থেকে পরে তা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G