এ পদক আমার না, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের!

প্রকাশঃ জুন ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ৯:১১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১১ অপরাহ্ণ

জহির উদ্দিন মিশু

এ পদক আমার না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের!ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পরানপুর গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে। বাবা মরহুম মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের সাব স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই রেজাউল ছিলেন বেশ মেধাবী। অষ্টম শ্রেণীতে মেধা তালিকায় বৃত্তির পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেনীতেই প্রথম স্থানে ছিলেন তিনি। তাঁর স্কুল জীবন শুরু হয় চাটখিল পরানপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে, এরপর পড়াশুনা করেন বেগমগঞ্জের থানারহাট হাইস্কুলে। এসএসসি পাসের পর ভর্তি হন ঢাকার আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজে, এ কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি বিএসসি (সন্মান) ১৯৯৯ সালে এবং ২০০১ সালে এমএসসি (থিসিস) পাস করেন।

এরপর ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে কায়ুংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ভৌত রসায়ন (বিশেষভাবে ন্যানো টেকনোলজি) এর ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন রেজাউল। ২০০৮ সালে পাকইয়াং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ইমাজিন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ শেষ করেন তিনি।

২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয় দফায় কায়ুংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উন্নত জৈব পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে কনডাকটিং পলিমার অ্যান্ড কার্বন ন্যনোটিউব বেজড ন্যনোপার্টিক্যালস ফ্যাবরিকেশন অ্যান্ড ক্যারেক্টারাইজেশন’র ওপর দ্বিতীয় পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ সম্পন্ন করে যোগ দেন সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং’র অধীনে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর রিসার্চ ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন ম্যাটারিয়ালস, অ্যাডভান্স ম্যানুফ্যাকচার ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে। যার প্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে সৌদি আরবের ‘শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক-২০১৫’র পদক লাভ করেছেন ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এ বছর কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি’স অ্যাওয়ার্ড ফর সায়েন্টিফিক এক্সিলেন্স-২০১৫ এর মোট সাতটি গ্যাটাগরিতে ১৫ জনকে তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পদক দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিম ‘ইনভেনশন, ইনভেনশন অ্যান্ড টেকনোলজি লাইসেন্সিং প্রাইজ ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থান লাভকারী হিসেবে এ পদক পান।

শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক-২০১৫’র পদক পেয়ে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে রেজাউল করিম প্রতিক্ষণকে বলেন, এ পদক আমার একার না। এ পদক সকল প্রবাসীর এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের পদক। আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি এ কারণে যে, আমি বাংলাদেশের সন্তান এবং বাংলাদেশের নামেই আমার এ পদক।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G