কিউবায় বারাক ওবামা
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
১৯৫৯ সালে কিউবায় বিপ্লবের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটি সফরে গেলেন। সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান বহুদিনের শত্রুতার অবসান হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি ভাষ্যমতে, মার্কিন দূতাবাস পুনরায় খোলার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। বারাক ওবামার এ সফরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক আর থাকছেনা।
বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রোববার মধ্যরাতে কিউবায় পা রাখেন ওবাবা । কিউবার রাজধানী হাভানায় পুনরায় খোলা মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই সফরকে আমি ঐতিহাসিক বলে করছি”।
মার্কিন দূতাবাসে নিজের বক্তব্যে ওবামা বলেন, “এখানে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। ১৯২৮ সালে প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কিউবা এসেছিলেন রণতরী নিয়ে। সেই সময় তাঁর আসতে সময় লেগেছিল তিন দিন। আর আমি এসেছি মাত্র তিন ঘণ্টায়। এই প্রথমবারের মতো আমার বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান কিউবার মাটি স্পর্শ করেছে”।
ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট নেতা রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এ ছাড়া পুরোনো শহর ঘুরে দেখার আগ্রহও আছে তার।
রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা হলেও অবসরে যাওয়া বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা হবে না বলে জানা গেছে। কিউবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাণিজ্য ও রাজনীতি নিয়ে বৈঠক করবেন হবে।
নিজের এই সফরকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন ওবামা। ২০১৪ সালের শেষে দীর্ঘদিনের বৈরিতার সম্পর্কের অবসান ঘটাতে রাজি হন বারাক ওবামা ও রাউল কাস্ত্রো। তারই অংশ হিসেবে ওবামার এই সফর।
প্রতিক্ষণ/এডি/কেএইচ
===












