কুসুম তেলের ওষধী গুণ

প্রকাশঃ মার্চ ২২, ২০১৬ সময়ঃ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

কবির হোসেন:

Safflower-01কাটাযুক্ত, লাল, হলুদ ও সবুজ রং এর সংমিশ্রনে চমৎকার দেখতে যে ফুলটি নাম তার কুসম। কৃষক অনেক সময় তার ক্ষেতের শষ্যকে অনিষ্টের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ক্ষেতের চারিপাশে এ ফুলটি রোপন করে থাকে।মুলত তেলবীজ হিসেবে ফুলটির চাষকরা হয় ফুলটি। তবে চিকিৎসকদের দৃষ্টিতে ফুলটি ওষধীগুনে ভরা।

 

কুসুম ফুলের বীজ থেকে তেল উৎপাদনের পর এর যে খৈল অবশিষ্ট থাকে, তা গবাদিপশুর প্রোটিনজাতীয় খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে গবিাদীপশু সুস্থ্য থাকে। কুসুম ফুলের তেলে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড। এই ক্যারোটিনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধ কাজ করে।

 

কুসুম ফুলে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি-র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এই বায়োফ্ল্যাভনয়েড ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

 

Safflower-02

দেহের সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের দৃষ্টিতে যে সকল রোগ ও কাজের ক্ষেত্রে কুসুম তেল কাজ করে:-

  • শিশুর বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে কুসুম ফুলের তেল খুবই কার্জকর।
  • কুসুম ফুলের বীজ থেকে উৎপন্ন তেল দিয়ে যে ওষুধ বানানো হয়, তা কোষ্ঠকাঠিন্য , হজমশক্তি বৃদ্ধি, শ্লেষ্মা পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে।
  • নিউমোনিয়া ও টিউমারে কুসুম ফুলের তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।
  • চায়ের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ কুসুম ফুল মিশিয়ে পান করলে কাশি ও ফুসফুসের জটিলতা নিরাময় হয়।
  • পাকস্থলীর টিউমার ও বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসায় কুসুম ফুলের তেল খুবই উপকাপরী।
  • কুসুম ফুল খোসপাঁচড়া, বাতের ব্যথা ও বুকের ব্যথায় ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়।
  • ডিপথেরিয়া, জন্ডিস, হৃদরোগ ও গিঁটেবাতের চিকিৎসায় কুসুম তেল ব্যবহার করা হয়।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G