তিস্তার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন

প্রকাশঃ মার্চ ২, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

piyajচলতি বছর নীলফামারীর ডিমলায় ঘনকুয়াশা থাকার পরেও তিস্তার জেগে উঠা চরের জমিতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ও দামে লাভবান হচ্ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। এই অঞ্চলে বরাবরেই বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো হয়।

স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বাজারে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে তার ব্যতিক্রম হয়েছে। পরিবহন সংকটে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে তরকারির প্রয়োজনীয় এই উপকরণের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চাহিদা বেড়ে এ অঞ্চলের কৃষকেরা দামও পাচ্ছেন ভাল।

উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এবছর চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, উত্তর খড়িবাড়ি, দক্ষিণ খড়িবাড়ি, ভাষানী চর, কিসামতের চর, কালীগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর চর, ছোটখাতা, বাইসপুকুর, পূর্ব বাইসপুকুর, পশ্চিম বাইসপুকুর, সতিঘাট বাইসপুকুর, ভেন্ডাবাড়ি, ছাতুনামার চরে চাষ হয়েছে পেঁয়াজের।

ছাতুনামা চরের বাসিন্দা মজিবর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ কাঠা জমির ২০ মণ পেঁয়াজ প্রতিমণ ২ হাজার টাকায় ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। দোহলপাড়া চরের সামসুল হক জানান, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে ভাল জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। বাজারে ভাল দাম পাবেন এমনটি আশা করছেন।

চরের কৃষকরা জানান, পেঁয়াজ চাষে জৈব সারের গুরুত্ব বেশি এবং রাসায়নিক সারের দরকার হয় না। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, পেঁয়াজের ফলন ও দামে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বছর ঘনকুয়াশা থাকার পরে চরের জমিতে পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে

প্রতিক্ষণ/এডি/আমজাদ

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G