ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
মন খারাপ হলে পছন্দের জিনিস খাওয়া মন ভালো করার ভালো একটি উপায়। তবে খাওয়ার সময় ক্যালরির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। কম ক্যালরিতে মজার খাবার খেলে হতাশাও কিছুটা কমবে, আবার শরীরে বাড়তি ক্যালরিও এড়ানো যাবে।
টক দই ও ফল
শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে টক দই দারুণ জনপ্রিয়। তাছাড়া ঘন টক দই যে কোনো ফলের সঙ্গে মিশিয়ে সুস্বাদু সালাদও বানানো যায়। আর দই খাওয়ার ফলে শরীরে ‘ফিল-গুড নিউরোট্রান্সমিটার’ বের হয়। অন্যদিকে ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হতাশা কমায় ও ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
চকোলেট প্রেমীদের জন্য সুখবর, শরীরে যে হরমোনের কারণে হতাশা জন্মায় তার প্রভাব কমাতে কার্যকরী একটি খাবার হল ডার্কচকলেট। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপও অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে ডার্ক চকলেট। অন্যদিকে কাজু বাদামের প্রোটিন শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে। আর ক্লান্তি দূর হলে মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে।
মিষ্টি আলু
রক্তে শর্করার পরিমাণ না বাড়িয়ে মিষ্টি কিছু খাবারের ইচ্ছা পূরণ করতে মিষ্টি আলুর জুড়ি নেই। তাছাড়া এর পুষ্টি উপাদান শক্তি জোগায়। তাই মন খারাপ থাকলে যদি মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করে তাহলে মিষ্টি আলুর তৈরি খাবার খাওয়াই যায়।
তরকারি
ভারতসহ আমাদের এই অঞ্চলের তরকারিতে সাধারণত মরিচ ব্যবহার করা হয়। তাই দেশীয় ঘরানায় তৈরি সবজির তরকারি খেলে দুটি বিষয় ঘটে। প্রথমত মস্তিষ্কে মরিচের অণু সনাক্ত করা মাত্রই এনডরফিন বের হয় যা শান্ত করতে সহায়তা করে। আর কারি বা তরকারির মসলা মানসিক চাপের ঢাল হিসেবে কাজ করে। এছাড়া সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরকারিতে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায় পালংশাক যা মানসিক চাপ থেকে তৈরি মাথা ব্যাথায় আরাম দেয়।
গ্রিন টি ওজন কমাতে কার্যকর। আর এর অ্যামাইনো এসিড মানসিক চাপ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে। তাই মন খারাপ থাকলে এবং হতাশার সময় গ্রিন টি পান করলে তা কমে আসতে পারে।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল