রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন হান্নান

প্রকাশঃ মার্চ ২২, ২০১৭ সময়ঃ ১২:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলকে মৃতুদণ্ডাদেশের রিভিউ খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। এরপর মুফতি হান্নান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান।

বুধবার সকাল ১০টায় কাশিমপুর কারাগারের হাই-সিকিউরিটি ইউনিটে দুজনকে রায় পড়ে শোনানো হয়।

মৃত্যদণ্ডাদেশ পাওয়া এই দুজনকে রিভিউ আদেশ পড়ে শোনান জেল সুপার। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি হান্নান প্রাণভিক্ষা চাইতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, রিভিউ খারিজের পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুসারে মুফতি হান্নান ও বিপুলের ফাঁসির দণ্ডাদেশ কাশিমপুরে কার্যকর করা হবে।

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন। সেখানেই তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হতে পারে।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী,সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর পর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।

গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে । ঐ বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল।

আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ রোববার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/রাহা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G