WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

সিটি এ্যানজিওগ্রাম এর ব্যাপারে সতর্কতা সিটি এ্যানজিওগ্রাম এর ব্যাপারে সতর্কতা

সিটি এ্যানজিওগ্রাম এর ব্যাপারে সতর্কতা

প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ২০, ২০১৭ সময়ঃ ১:১৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:২৩ অপরাহ্ণ

হৃদপিন্ডের রক্তনালির ব্লক নির্ণয় করবার জন্য নানান পদ্ধতি আছে। সবচেয়ে নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য হলো হাতের বা পায়ের ধমনী সুঁইয়ের মাধ্যমে ফুটো (puncture) করে একটি সরু ক্যাথেটারের সাহায্যে হৃদপিন্ডের ধমনীগুলোকে অত্যন্ত পরিস্কারভাবে দৃশ্যমান করা। এই পদ্ধতির নাম করোনারী এ্যানজিওগ্রাফী। যেহেতু এটি একটি ইনভেসিভ পরীক্ষা তাই রোগীকে ১২ ঘন্টা বা তার অধিক হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। একটি সাধারণ এ্যানজিওগ্রাম করতে গড়ে ৩০ মিলি ডাই (contrast medium) ব্যবহার করতে হয় যা শরীরের জন্য খুবই সহনীয়। একটি মানসম্পন্ন স্বচ্ছ এ্যানজিওগ্রাম রোগীর হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরী।

কিন্তু ইদানীং বাণিজ্যিক কারণে সিটি স্ক্যান মেশিনের সাহায্যে এ্যানজিওগ্রাম করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এব্যাপারে সকলের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
একটি সিটি এ্যানজিওগ্রাম করতে গড়পড়তা ১০০ মিলি ডাই প্রয়োজন পড়ে যা শরীরের জন্য বিশেষ করে কিডনীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া সিটি এ্যানজিওগ্রামে প্রচুর বিকিরণ শরীরে প্রবেশ করে যা ভবিষ্যতে নানান রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রায়শই দেখা যায় সিটি এ্যানজিওগ্রাম রিপোর্টে বিভিন্ন মাত্রার ব্লকের উল্লেখ থাকে যা নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় ইনভেসিভ এ্যানজিওগ্রাম করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাতে ঝুঁকি ও খরচ দ্বিগুন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়। সিটি এ্যানজিওগ্রামে যেসব রিপোর্ট আমরা পাই পরবর্তীতে ইনভেসিভ এ্যানজিওগ্রামে তা প্রায়ই ভিন্নরূপ দেখা যায়।

এরকম ঘটনা দেখেছি যে, রোগী সিটি এ্যানজিওগ্রাম করে একটি ৯০% ব্লক নিয়ে আমাদের কাছে এসেছেন রিং লাগাতে। আমরা রিং লাগাতে প্রস্তুতি নিয়ে দেখি সম্পূর্ণ নরমাল ধমনী। আবার বিপরীতটাও মিলেছে। সিটি এ্যানজিওগ্রাম বলছে ছোট ছোট ব্লক, কিন্তু ইনভেসিভ এ্যানজিওগ্রাম করে দেখা গেল বড় বড় ব্লক। সিটি এ্যানজিওগ্রাম বলছে, রোগীর মেজর দুটি ধমনীতে (LAD and LCX) ৩০-৪০% এবং ২০% ব্লক আছে। অথচ ইনভেসিভ এ্যানজিওগ্রাম পরিষ্কার করে দেখাচ্ছে LAD 100% এবং LCX 80% (eighty) ব্লক রয়েছে।

প্রতিটি পরীক্ষারই যথাযথ ব্যবহার আছে। তবে সেটি সঠিক ব্যক্তির জন্য করা হলে উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে। সিটি এ্যানজিওগ্রাম একটি পরীক্ষা যা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক দ্বারা রিপোর্ট হলে তার একটি ভালো ব্যবহার আছে। কিন্তু সেটি কখনোই ইনভেসিভ এ্যানজিওগ্রামের বিকল্প নয়।

 

সূত্র: ডা. মাহবুবুর রহমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে

(Senior Consultant Interventional Cardiologist

& CCU incharge at Labaid Cardiac Hospital)

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G