দেশের প্রতিটি জেলায় পাসপোর্ট অফিস হবেঃ প্রধানমন্ত্রী
পাসপোর্ট সেবার মান বাড়াতে প্রতি জেলায় জেলায় পাসপোর্ট অফিস করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ২০১৬ উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন। সেইসঙ্গে উন্নতমানের ‘ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট’ প্রবর্তনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস ছাড়াও মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনা, পটুয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও দিনাজপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাসপোর্টের ভোগান্তি কমাতে, দেশের প্রতিটি জেলায় পাসপোর্ট অফিস করা হবে। পাসপোর্ট অধিদফতর সাধারণ মানুষের জন্য সব প্রকার সহযোগিতা করে থাকলেও কিছু প্রতারক দালালের কারণে আমাদের অর্জন ম্লান হচ্ছে। তাই আগামীতে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এক্সেসের মাধ্যমে ফর্ম পূরণ ও জমার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার পাসপোর্ট সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চায়। আজ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাসপোর্ট অফিসের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে দেশের প্রত্যকটি জেলায় পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করা হবে। জনগণ নিজ ঘরের কাছ থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবে।’ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ২০১০ সাল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরি করতে পেরেছি আমরা ।’
‘বিমান কর্তৃপক্ষকে ই-টিকেট করা নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু অন-লাইনে ভিসা পাওয়া যায় এবং সেই সঙ্গে টিকেটও পাওয়া যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাসপোর্ট নাগরিকের অধিকার। নাগরিকদের সেবা দিতে পাসপোর্ট অফিসকে পরিদপ্তর থেকে অধিদপ্তরে রপান্তর করেছি। আমাদের দেশের প্রায় ৯০ লাখ লোক বিদেশে কাজ করে। তাদের কথা চিন্তা করে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে জনবল ৩৭৪ থেকে ১ হাজার ৮৪ জনে উন্নীত করেছি। তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
‘আমরা আমাদের বার্ষিক উন্নয়নে ৯০ শতাংশ নিজের টাকায় করছি। আমরা কারো কাছে মাথা নত করবো না। জাতি আরো উন্নত হবে। আমরা আর নিচে থাকবো না। আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশ। ২০২১ সালের আগে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডআর













