৬৮ বছর বয়সের স্কুলছাত্র

প্রকাশঃ জুন ১৬, ২০১৬ সময়ঃ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

2016_06_15_17_28_54_E7NEN1srLFmg3Q3hmGog28uSxr3x4E_original

শিক্ষার কোনো বয়স নেই- কথাটি বিভিন্ন সময়ে আমরা শুনে আসলেও এর বাস্তব উদাহরণ পাওয়া খুব কঠিন। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে তা একদমই আলাদা। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর স্কুল, কলেজ যেতে ইচ্ছে করে না কারোরই।

কিন্তু এসব কিছুকে পেছনে ফেলে শিক্ষা গ্রহণের পথে কোনো কিছু কখনোই বাধা হতে পারে না তা আবারও প্রমাণ করছেন নেপালের ৬৮ বছর বয়সী দুর্গা কামি। দেশটির সবচেয়ে বেশি বয়সের শিক্ষার্থী তিনি।

2016_06_15_17_29_00_WFBOG7H4XO3CURyx4su07iwwfREspM_original

নেপালের একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র দুর্গা ছয় সন্তানের জনক। তার আটজন নাতি-নাতনিও রয়েছে।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর অনেকটা একা হয়ে যাওয়া দুর্গা আবারও স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। শৈশবে দারিদ্রের কারণে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে না পারা দুর্গা এখন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

একটি লাঠি নিয়ে দীর্ঘ পথ হেঁটে তিনি রোজ স্কুলে যাতায়াত করেন।

2016_06_15_17_29_02_vBCLhPJbGgVvgbS7oNfgJxhFhG86qM_original

দুর্গার স্কুলের একজন শিক্ষক রয়টার্সকে বলেন, “নিজের বাবার বয়সী একজনকে শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা আমার জীবনে এটিই প্রথম।”

দুর্গার সহপাঠীরা নেপালী ভাষায় তাকে ‘বা’ বলে সম্বোধন করে। যার অর্থ ‘বাবা’।

এ বয়সে নতুন করে স্কুলে যাওয়া শুরু করার কারণ সম্পর্কে দুর্গা রয়টার্সকে বলেন, “নিজের দুঃখ ভুলতে আমি স্কুলে যাই। স্ত্রীর মৃত্যুর পর আমি খুব একা হয়ে পড়েছিলাম। একাকিত্ব থেকে বাঁচতে আমি স্কুলে যাই।”

2016_06_15_17_29_11_HXYsSbkZDhftNqWRglxAB7JAxEv3Hq_original

বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে টর্চের আলোতে লেখাপড়া করেন ‍দুর্গা। খাবার না খেয়ে তিনি টর্চের ব্যাটারির খরচ জোগাড় করেন।

এই বয়সেও তিনি স্কুলের খেলাধূলায় অংশ নেন। ভলিবল তার প্রিয় খেলা।

তিনি আমৃত্যু লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চান। তিনি আশা করছেন তাকে দেখে আরও অনেকে উৎসাহ পাবে এবং বয়সের বাধা কাটিয়ে পুনরায় শিক্ষাজীবন শুরু করবে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G