বিধবা হওয়ার শাস্তি আঙ্গুল কাটা!

প্রকাশঃ এপ্রিল ২১, ২০১৬ সময়ঃ ২:০২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:০২ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

Angul

যুগে যুগে নারীকে নির্যাতন করার কত রকম অদ্ভুত উপায়ই না বের করেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। এক সময় অবিভক্ত ভারতে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে জীবন্ত অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে চিতায় তুলে পুড়িয়ে মারা হত। রাজা রামমোহন রায়ের চেষ্টায় ১৮২৯ সালে সেই বীভৎস সতীদাহ প্রথা রদ হয়। কিন্তু এখন, ভারত থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত আছে বিধবা তথা নারী নিগ্রহের এক অদ্ভুত ও বীভৎস ঐতিহ্য। স্বামীর মৃত্যু হলে সদ্য বিধবার হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে চালু আছে এই বর্বর রীতি। পাপুয়ার দানি সম্প্রদায়ে যখনই কোন পুরুষ মারা যান, শোক পালনের জন্য তার স্ত্রীর হাতের আঙ্গুল কেটে নেওয়া হয়।

বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকেও তাঁর সঙ্গে চিতায় পুড়িয়ে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল ভারতীয় সমাজে। বঙ্গতনয় রাজা রামমোহন রায়ের চেষ্টায় তা রদ হয়েছিল বটে। কিন্তু এখনও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চালু রয়েছে বিধবা মহিলাদের জন্য নানাবিধ ভয়ঙ্কর রীতি। তেমনই একটি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার ‘দানি’ সম্প্রদায়ের অদ্ভুত আঙুল কেটে ফেলার নীতি। নিয়মানুযায়ী ‘দানি’ সম্প্রদায়ের মহিলাদের পরিবারের কর্তা বা স্বামী মারা গেলে তাঁদের হাতের আঙুল কেটে ফেলতে হবে। আঙ্গুল কাটার আগে মহিলার হাত কষে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে হাতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর কুড়ুল দিয়ে আঙুল কেটে দেওয়া হয়। “মৃতের আত্নার শান্তির” উদ্দেশ্যে যন্ত্রণাদায়ক ও অপমানজনক এই প্রথা সহ্য করতে হয় সেখানকার নারীদের।

দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে চলে আসছে এই প্রথা। এখনও ইন্দোনেশিয়ায় বহু নারীকে দেখা যায় আঙ্গুলবিহীন অবস্থায়। যদিও ইন্দোনেশিয়া সরকারের তরফ থেকে এই ধরণের মধ্যযুগীয় বর্বরতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে কিন্তু এখনও বন্ধ হয়নি এই বর্বর প্রথার চর্চা।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G