WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অনিচ্ছা সত্বেও আমরা যে ক্ষুদ্র অথচ ভয়ঙ্কর বিরক্তিকর প্রাণীকে সহ্য করে চলেছি; সে আর কেউ নয়; মশা। এর হাত থেকে বাঁচতে একেকজন একেক পদ্ধতি অবলম্বন করে যাচ্ছি। কেউ ইলেকট্রিক কয়েল, কেউ ধুপকাঠি আবার কেউ নরমান কয়েল ব্যবহার করেন। এছাড়া সুগন্ধের জন্য ঘর-বাড়িতে সুগন্ধী ধুপকাঠি জ্বালানো হয়। এতে সাময়িক সমাধান হচ্ছে বটে; তবে একটা বিরাট গোলমাল বেধে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই কয়েল এবং ধুপকাঠি উভয়ই ঘটাতে পারে ক্যানসারের মত ভয়াবহ রোগ?
রাতে একটু শান্তিতে ঘুমানোর জন্য ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে আবদ্ধ ঘরেই মশার কয়েল জ্বালান যাতে মশা প্রবেশ করতে না পারে। আর আপনার রাতের ঘুমটিও ভালো হয়। কিন্তু আমাদের অজানাই থেকে যায় যে, বন্ধ ঘরে একটি কয়েল জ্বালানো আর প্রায় ১০০টি সিগারেট খাওয়া দুই-ই সমান! সিগারেটে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়, সেভাবেই মশার কয়েল এবং সুগন্ধী ধুপকাঠি জ্বালালে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাইওয়ান এবং চীনে এ সংক্রান্ত গবেষণায় প্রমাণিত, মশার কয়েল এবং ধুপকাঠি শুধু ফুসফুসের জন্যই ক্ষতিকর নয় বরং এর জেরে ক্যান্সারও হতে পারে। তবে ধোঁয়াবিহীন কয়েলে ঐ উপাদানগুলি কম থাকলেও, সেগুলি থেকে বিশাল পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয়। এটিও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
চেস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর সন্দীপ সালভির দাবি, কয়েল এবং সুগন্ধী ধুপকাঠিতে কার্সিনোজেন থাকে। তার মতে, বদ্ধঘরে একটি মশার ধুপ জ্বালানো প্রায় ১০০টি সিগারেট খাওয়ার সমান।এছাড়া এই ধুপকাঠিগুলি টক্সিক। কারণ, এতে সিসা, লোহা এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে। মশার কয়েলেও পাইরেথ্রিন নামে একটি কীটনাশক থাকে, যা ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকর বলেও জানান এই চিকিৎসক।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, মশা রিপেলেন্ট ম্যাট এবং লিকুইডেটরগুলি কি নিরাপদ? যদিও এই দুইয়ের ওপর এখনও গবেষণা হয়নি, এ বিষয়ে সালভি জানিয়েছেন, এই গ্যাসিয়াস পলিউশনও ফুসফুসে তীব্র জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
জানা যায়, বছরখানেক আগে মশার কয়েল এবং ধুপকাঠির কার্সিনোজেনিক উপাদান নিয়ে গবেষণা হয়েছে। যে স্থানের তাপমাত্রা বেশি, যেমন- ভারত,বাংলাদেশ এবং চীন; সেখানেই মশার উপদ্রব দেখা যায়। তাই ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীতল স্থানে এ সংক্রান্ত কোনও গবেষণা হয়নি।
টিপস: ডেঙ্গু, চিকেনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে দরজা এবং জানালায় মশার-নেট লাগানো উচিত এবং বিছানায় মশারি খাটিয়ে ঘুমনো উচিত। এছাড়া আর একটি সহজ উপায় অবলম্বন করে এই ছোট্ট পতঙ্গকে তাড়াতে পারেন।
আর তাহলো, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি লেবুকে দুভাগ করে কেটে তার মাঝে কয়েকটি লবঙ্গ বসিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিন এতে মশা দূর হবে দারুণভাবে এবং একইসাথে আপনি ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। তা এখনই পরীক্ষা করে দেখুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি
এরকম আরও কিছু খবর: