WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যু গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যু

গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যু

প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২৪, ২০২১ সময়ঃ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এর আগে রোববার (১৮ জুলাই) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে চিকিৎসকেরা তাকে লাইফ সাপোর্টে নেন। শুক্রবার (২৩ জুলাই) তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এদিকে ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরকে ভর্তি করা হয়। তার আগে কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ। সেদিনই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

পরে গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফকির আলমগীর ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রাজপথে বিভিন্ন আন্দোলনে তাকে বহুবার দেখা গেছে। তিনি ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন এ গণসংগীত শিল্পী। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। তিনি একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত।

স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।

জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G