সমুদ্রে নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
আজ দুপুর পর্যন্ত সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুপুরের পর বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি রোববার সকালে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৪নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের সংকেত বাড়ানো হয়েছে।
এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার নাম হবে ‘নাদা’ এ নামটি ওমানের দেওয়া। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল এ অঞ্চলে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের একটি তালিকা আগে থেকে করে রাখে। কোনো নিম্নচাপ সাইক্লোনের রূপ নিলে ওই তালিকা থেকে নির্ধারিত নামটি বরাদ্দ হয়।
শনিবার দুপুরের পর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সতর্কসংকেত জারি থাকা অবস্থায় এসব নৌযানকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দু-তিন ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন














