প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নাকি উদ্ধত ধনকুবের?

প্রকাশঃ নভেম্বর ৮, ২০১৬ সময়ঃ ১:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:০৮ অপরাহ্ণ

hilary

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় কাজের কথার চেয়ে অকাজের কথা হয়েছে বেশি; যা আমেরিকানদের দু:চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ইতোমধ্যে। জর্জ বুশের সময়ও ঠিক এরকম উত্তেজনাকর বক্তব্য লক্ষ্য করা গিয়েছিল। অনেকেই আল গোরকে আশা করলেও আশায় গুড়েবালি হয়ে বুশ হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। এরই সাথে ভেঙে গিয়েছিল অনেকের মন। বাস্তবে এক ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়েই তিনি কাজ করেছিলেন; যা সবারই জানা। এবারের হিলারী-ট্রাম্প বিষয়টাও সেদিনগুলোকে মনে করিয়ে দিচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। জয়ের আগে ট্র্যাম্পের উদ্ধত হুমকি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠী চরম ভাবনায় পড়ে গেছে। সেই সব হিসাব কষে সবার ইচ্ছা, হিলারীই হোক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশের সচেতন জনসাধারণের মনের ইচ্ছাও অনেকটা তাই।

হিলারি ‘আশাবাদী, অংশগ্রহণমূলক ও উদার আমেরিকা’ নির্মাণে সমর্থন দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার পক্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা।

অন্যদিকে ট্রাম্প বলেছেন, ভাঙা আমেরিকাকে জোড়া লাগানোর জন‌্য তিনিই ‘শেষ সুযোগ’; তিনিই আমেরিকাকে ফিরিয়ে দিতে পারেন শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা। নিজের ব‌্যবসায়িক সাম্রাজ‌্যের অনেক সাফল‌্য তাকে সাহস যোগাচ্ছে।

দীর্ঘ ১৫ মাসের ভোটের প্রচারে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের পাশাপাশি ট্রাম্পকে সামলাতে হয়েছে নারীদের নিয়ে বেঁফাস মন্তব‌্যের সমালোচনা, একের পর এক যৌন হয়রানীর অভিযোগ, এমনকি ধর্ষণের মামলাও হয়েছে তার নামে। অন‌্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যক্তিগত ই মেইল সার্ভার ব্যবহার করার ঘটনায় হিলারির দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এসব বিতর্কের মধ‌্যে ভোটের প্রচারের শেষ দুই সপ্তাহে জনমত জরিপের ফল পেন্ডুলামের মত দুলেছে বার বার। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ হিলারির কাছে ট্রাম্প পাত্তা পাবেন না বলে প্রাথমিকভাবে ভাবা হলেও মঞ্চ মাতানোর অভিনব কৌশলে ট্রাম্প ঠিকই উৎরে গেছেন।
হিলারি চান বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মত কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করতে, ট্রাম্পের ইচ্ছা মার্কিন জনগণের জন্য অস্ত্র আরও সহজলভ্য করতে।

মধ্যবিত্তের কর কমিয়ে ধনাঢ্যদের আরও বেশি করের আওতায় আনতে চান ডেমোক্রেট হিলারি; ট্রাম্পের চাওয়া ধনীদের কর কমিয়ে ওই অর্থ দিয়ে আরও কর্মসংস্থান বাড়ানো।
যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি ভিন্ন টাইম জোনের কারণে ভোট শুরুর সময় এলাকাভেদে আলাদা হবে।

নিবন্ধিত ভোটাররা কেবল প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্টই নির্বাচন করবেন না; তাদের ভোটে সিনেট ও কংগ্রেসেও রদ-বদল আসবে।
এবারের নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ‌্যে রেকর্ড ৪ কোটি ৪৯ লাখ ভোটার পোস্টে বা বুথে গিযে আগাম ভোট দিয়েছেন ইতোমধ‌্যে।

কিছু সময় পরেই সারা বিশ্ব জানতে পারবে, কে হতে যাচ্ছেন  যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নাকি উদ্ধত ধনকুবের ট্র্যাম্প?

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G