শিশুটির চিৎকারেও মন গলেনি পাষন্ডদের (ভিডিও)

প্রকাশঃ আগস্ট ১, ২০১৭ সময়ঃ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

দিনে দিনে আমরা কতটা অমানুষ হয়ে উঠছি সেটা এই ভিডিও চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। শিশুটির প্রতি এই অমানবিক আচরনের বিচারের দাবী জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যহারকারীরা।

ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের রাস্তায় ৫-৭ বছর বয়সী এক শিশুকে সবার সামনে প্রচণ্ড মারধর করছে দুই তরুণ। রাস্তায় অনেকে থাকলেও কেউ শিশুটিকে বর্বর লোক দুটির হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। প্রথম ব্যক্তি শিশুটিকে বেধড়ক মারধরের পর আরেকজন ওই শিশুটির গলা চেপে ধরে রেখেছে, যাতে সে নড়তে না পারে।

‘দাদা, দাদা’ বলে শিশুটি তীব্র চিৎকার করছে, কিন্তু কিছুতেই মন গলছে না পাষণ্ডদের। ওরা অনবরত মেরেই যাচ্ছে শিশুটিকে। এক পর্যায়ে শিশুটিকে উপরে তুলে আছাড় দেয় এক পাষন্ড। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে মাটিতে শুইয়ে শিশুটিকে চেপেও ধরেন ওই ব্যক্তি!

৩১ জুলাই সোমবার এমন অমানবিক ও নৃসংশ শিশু নির্যাতনের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে ২৫ জুলাই সিলেটের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম মো. আব্দুল আলী। সে হাজীপুরের মৃত মুসাব্বির আলীর ছেলে।

শিশুটির পরিবার জানায়,  মারধরে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আব্দুল আলীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তার ফুফাতো ভাই আহসান জানান, শিশু আব্দুল আলী স্থানীয় ভুষি মালের ব্যবসায়ী পারভেজের ট্রলি চালাতো। টানা পাঁচদিন তার জ্বর থাকায় ট্রলি চালাতে যেতে পারেনি আব্দুল আলী। কয়েকদিন কাজে না যাওয়ায় পারভেজ, আমির আলী আর ময়না আব্দুলের বাড়িতে আসে। তারা তাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পাঁচ দিন কাজ না করায় তার কাছে তিন হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন পারভেজ। সে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে বেধড়ক মারধোর করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে শূন্যে তুলে আছাড় মারা হয়।

কুলাউড়া থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কুদ্দুস মিয়া ও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি পারভেজসহ বাকি তিনজন পলাতক আছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।। ভিডিওতে দেখুন নির্যাতনের চিত্র—

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G