WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা এল। প্রকৃতির প্রতিটি অংশে এখন পরিবর্তনের ছোঁয়া। আমাদের দৈনন্দিন খাবার-দাবারেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে; এ সময় ঠিক কী ধরণের খাবার খাওয়া উচিত। আসলে এক কথায় বলতে গেলে, সময়ের খাবার সময়েই খাওয়া উচিত। অর্থাৎ এ মুহূর্তে প্রকৃতিতে যে সবজিগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোই আপনার এ সময়ের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন জেনে নিই কী কী পাওয়া যাচ্ছে এই বর্ষা মৌসুমে –
করলা : বৃষ্টি মৌসুমে পাওয়া তেতো করলা অন্ত্রের ভেতরে থাকা পরজীবী কৃমি ধ্বংসে কার্যকর। পাকস্থলী ও অন্ত্রের পরজীবীগুলোর সাধারণত এ বর্ষাকালেই বেশি বাড়ে। করলাতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন-সি, ফোলেট এবং ভিটামিন-এ এসব সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এটি পেট, কোলন, ফুসফুস, এবং স্তন ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। করলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
চিচিঙ্গা : চিচিঙ্গায় ফাইবার থাকায় এটি পেটে বেশিক্ষণ থেকে ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। এ কারণে এটি মেদ ঝরাতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভারি খাবার গ্রহণের পরে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব এবং পেট-ব্যথা প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর এ সবজিটি।
পটল : পটলে থাকা অ্যান্টিপাইরেটিক জ্বর এবং সর্দি হ্রাস করতে সাহায্য করে। রক্তের শুদ্ধির জন্য পোটল বেশ উপকারী। এটি রক্ত ও টিস্যু পরিষ্কার করে ত্বকের যত্ন নেয়। এ সবজিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সঠিক হজমে সহায়তা করে। পোটলের বিচি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তাই পটল খাওয়ার সময় এর বিচি ফেলা ঠিক নয়। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে যার ফলে দেহের কোলেস্টেরল কমে যায়।
কাকরোল : কাঁকরোল যকৃতের ক্ষতি, প্রদাহজনিত অসুস্থতা রোধ এবং জ্বর কমাতে সহায়তা করে। এর হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য অতিরিক্তভাবে ইনসুলিনের নিঃসরণ এবং সংবেদনশীলতা উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। কাঁকরোলের বিচিতে থাকা ফাইবার গ্যাস্ট্রিক আলসার, পাইলস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ভূমিকা রাখে।
ঢেঁড়স : ঢেঁড়স ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে এবং প্রোটিনে ভরপুর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শক্তিশালী পলিফেনল প্রদাহ রোধ, হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। ঢেঁড়স রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ঢেঁড়স রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
প্রতিক্ষণ/এডি/অনি