বাষ্পে ভেসে আসে শীতের গন্ধ: চট্টগ্রামের রাস্তায় আগাম পিঠার উৎসব

প্রকাশঃ অক্টোবর ১২, ২০২৫ সময়ঃ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরীতে শীত এখনো পুরোপুরি নামেনি, তবে রাস্তাঘাটে তার আগমনী বার্তা যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শহরের বাতাসে মিশে গেছে পিঠার গন্ধ, মানুষের মুখে শীতের স্বাদ। সকাল কিংবা সন্ধ্যা—নগরীর কাজির দেউড়ি মোড়ের মতো জায়গাগুলো এখন জমজমাট হয়ে উঠছে গরম ভাপা আর চিতই পিঠার দোকানে।

চায়ের দোকানের পাশে ছোট এক চুল্লি, তার ওপরে বসানো স্টিলের হাঁড়ি, ভিতর থেকে বেরোচ্ছে সাদা বাষ্প। বিক্রেতার হাতে হাতেই তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা—ভিতরে মিষ্টি নারকেল আর গুড়ের পুর। সেই গরম পিঠা হাতে পেয়েই কেউ খেয়ে ফেলছেন, কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। ঠান্ডা বাতাসে মিষ্টি বাষ্পের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে নারকেল-গুড়ের গন্ধ, তৈরি হচ্ছে এক অন্যরকম উষ্ণতা।

চিতই পিঠার দোকানেও ভিড় কম নয়। ভর্তার পাত্রে সাজানো নানা স্বাদের আয়োজন—শুটকি, শিম, মরিচ, সরিষা। ক্রেতারা পছন্দমতো ভর্তা বেছে নিয়ে গরম চিতইয়ের ওপর চেপে খাচ্ছেন। কারও মুখে মুচকি হাসি, কারও চোখে নস্টালজিয়া—শীতের শুরুটা যেন এমনই হয় প্রতি বছর, শহরের ব্যস্ততার মাঝেও গ্রামবাংলার স্বাদ ফিরে আসে এই পিঠার দোকানগুলোতে।

প্রতি পিস পিঠা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। দাম যতই কম হোক, স্বাদে বা আবেগে কোনো ঘাটতি নেই। এক কামড়ে মিষ্টি আর ঝালের মিশ্রণে মনে পড়ে যায় শৈশবের শীতের সকাল, মা বা দিদার হাতে বানানো পিঠার গন্ধ।

চট্টগ্রামের শীতের সূচনা তাই এখন পত্রিকায় নয়, ভাপা পিঠার বাষ্পেই ধরা পড়ছে। আগাম শীতের এই উষ্ণ মুহূর্তগুলো শহরের রাস্তায় শুধু পেট ভরায় না—মনে জাগায় এক অনির্বচনীয় স্বাদ, একটুখানি গ্রাম, একফোঁটা নস্টালজিয়া।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G