চবিতে গোপন মদ কারখানায় অভিযান, দুইজন আটক

প্রথম প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২, ২০২৫ সময়ঃ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে গ্রীনহাউস এলাকার ব্রিজের উত্তর পাশে একটি টিনঘরে পরিচালিত গোপন মদ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বাংলা মদ, মদ তৈরির সরঞ্জাম ও বন্যপ্রাণী শিকারের অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

সোমবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কাননের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। এতে মদ উৎপাদনের মূলহোতা সুমন চাকমা ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক নারীকে আটক করা হয়।

তথ্য অনুযায়ী, সুমন চাকমা প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় লিজ নেওয়া জমিতে বসবাস করে আসছিলেন। গোয়ালঘরের পেছনের লম্বা বারান্দা জুড়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মদ উৎপাদন করতেন বলে জানায় প্রক্টরিয়াল বডি।

সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন জানান, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এলাকার পুকুরপাড়ে বহিরাগতদের অস্বাভাবিক আনাগোনা ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর নিয়মিত উপস্থিতি সন্দেহ তৈরি করে। কয়েক দফা নজরদারি ও রেকির পর সোমবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীসহ ৭–৮ জনের একটি দল ঘরটি ঘিরে ফেলে। অভিযানে সুমন চাকমা ও তাঁর সঙ্গে থাকা নারীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ওই নারী তাঁর স্ত্রী নন।

তল্লাশিতে কারখানা থেকে প্রায় ৩০ লিটার সদ্য প্রস্তুত গরম বাংলা মদ, ৫ লিটার ডেক্সি, ডেলিভারি প্রস্তুত বোতল এবং মদ তৈরির বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মদ বিক্রির হিসাব রাখা একটি নোটবুকও জব্দ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সুমন চাকমা শুধু মদ উৎপাদনই নয়, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গল থেকে বন্য শুকর, হরিণ ও বন্য মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণী শিকার করতেন এবং সেগুলোর মাংসও বিক্রি করতেন। কিছু শিক্ষার্থী তাঁর কাছ থেকে নিয়মিত মদও কিনত বলে জানা গেছে। নিয়মিত ওই এলাকায় যাতায়াতকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।

অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনস্পেক্টর মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশ সহায়তা প্রদান করে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী হত্যা এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিজকৃত জমিতে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার ঘটনায় লিজ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অনুমতিহীনভাবে গাছ কাটার অভিযোগে লিজগ্রহীতাকে আর্থিক জরিমানা করা হবে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত

20G