অবরোধে স্কুল চললেও নেই উপস্থিতি

প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি ১৭, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫০ অপরাহ্ণ

 

school-protikhonনিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

টানা অবরোধে অনিশ্চয়তা, সহিংসতা ও ভীতির মধ্যে চলছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো । স্কুল চালু রাখার জন্য সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকলেও অবরোধে খোলা থাকছে রাজধানী ঢাকা সহ বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

কিন্তু শিক্ষকেরা বলছেন, কমে গেছে স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। অভিভাবকেরা বলছেন, রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হবার ভয়ে অনেক সময়েই সন্তানদের স্কুলে পাঠান না তারা। আর সামগ্রিকভাবে এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষাব্যবস্থায়।
বিরোধী দল বিএনপি’র ডাকা অবরোধের মধ্যে স্কুলে ক্লাশ চলছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাস্তাঘাটে সহিংস হামলার ঘটনার কারণে সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়েও স্বস্তিতে নেই অভিবাবকরা।

“সহিংস ঘটনার খবর তো গণমাধ্যমের কারণে সবাই শুনেছে, ফলে তাতে আশংকা আরো বেড়েছে। এতে বাচ্চা ও বাচ্চার পরিবার অনিশ্চয়তায় ভুগছে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে।”
একজন অভিভাবক বলছিলেন, “এখন তো চোরাগোপ্তা হামলা হয়। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠালে আতঙ্কে থাকতে হয়, ঠিকমত বাসায় ফিরতে পারবে তো!”

বিএনপি’র ডাকা লাগাতার অবরোধে সারাদেশে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ঘটেই চলেছে। এর মধ্যে বাসে, ট্রেনে আগুন ও ভাঙচুর, এবং হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা প্রায় নিয়মিত ঘটছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন মানুষ মারাও গেছেন। পাঁচই জানুয়ারি ফেনীতে হাতবোমা বিস্ফোরণে দুইজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তহ হয়। ফলে একদিকে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে যেমন রয়েছে আতংক, তেমনি ঠিক সময়ে বছরের সিলেবাস শেষ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে অভিভাবকেরা রয়েছেন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়।

এদিকে, অবরোধের মধ্যে স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত কোনো সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও রাজধানী ঢাকা এবং বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে খোলা স্কুল থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার খুবই কম থাকে।

ঢাকার বেশিরভাগ বাংলা মাধ্যম স্কুলেও একই অবস্থা। অন্যদিকে, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো বেশিরভাগই কোনো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। আর সেকারণে তাদের নিতে হচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থা। বলছেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ শাহরিয়ার পারভেজ।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও অবরোধ-হরতাল এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছিল। সেসময় সরকারি নির্দেশনার মাধ্যমে স্কুলগুলো খোলা রাখা এবং ছুটির দিনগুলিতে ক্লাশ নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর এ সংক্রান্ত সরকারি কোনো নির্দেশনাও নেই।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G