WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
জহির ভূইয়া
টি২০ বিশ্বকাপ আস ২০২২ এর দুই ফাইনালিষ্ট পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডের ম্যাচ কাল বাদে পরশু মেলবোর্নে। কিন্তু এর আগে ফাইনালের পরিসংখ্যান গুলো বার বার সামনে আসছে।
পরিসংখ্যান বলছে এ যাবত কালে পাক-ইংলিশ টি২০ ম্যাচের সামগ্রিক বিচারে ইংলিশরা এগিয়ে। কারণ ২৮ বার ব্যাটে-বলে টি২০ ম্যাচের যুদ্ধে ইংলিশরা জিতেছে ১৮ বার আর পাক শিবিরে ৯ বার, ১ বার ফলাফল হয়নি। সে হিসেবে অবশ্যই এগিয়ে ইংলিশ ক্রিকেট দল।
কিন্তু মাঠের পারফর্মেন্সই বড় কথা। টি২০ ম্যাচে ব্যক্তিগত হিসেবটাই দলের কাজে আসে। সে হিসেবে বিচার করলে দেখা যায়, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ফাইনালে অভিজ্ঞতা দুই দলের সমানে সমান। কেউ কারো চেয়ে কম নয়।
পাক শিবিরের দুই কান্ডারি বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বল হাতে আগুনের তাপ দিচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাবরের নামের পাশে মোট টি২০ ম্যাচের সংখ্যাটা ৯৮, রান করেছে ৩৩২৩ এবং ফিফটি ৩০, সেঞ্চুরি ২টি, সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপ আসরে ৬ ম্যাচে করেছেন ১ ফিফটি দিয়ে ৯২ রান। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আন্তর্জাতিক টি২০ ক্যারিয়ারে ৭৯ ম্যাচে করেছেন ২৬২০ রান, ফিফটি করেছেন ২৩টি এবং সেঞ্চুরি ১টি, সঙ্গে ৬ ম্যাচে ১ ফিফটি দিয়ে ১৬০ রান। আর পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ক্যারিয়ারে ৪৬ টি২০ ম্যাচে উইকেট শিকার করেছেন ৫৭টি।
আর ইংল্যান্ড দলের প্রধান ভরসা অধিনায়ক জস বাটলার আন্তর্জাতিক টি২০ ক্যারিয়ারে ১০২ ম্যাচে রান করেছেন ২৫৭৬, ফিফটি করেছেন ১৯টি এবং সেঞ্চুরি ১টি, সঙ্গে ৫ ম্যাচে ২ ফিফটি দিয়ে ১৯৯ রান। ইংলিশদের আরেক কান্ডারি অ্যালেক্স আন্তর্জাতিক টি২০ ক্যারিয়ারে ৭৪ ম্যাচে করেছেন ২০৭৩ রান, ফিফটি করেছেন ১২টি এবং সেঞ্চুরি ১টি, সঙ্গে এবারের আসরে ৫ ম্যাচে ২ ফিফটি দিয়ে ২১১ রান। ইংলিশ পেসার স্যাম কুরান ৩৪ টি২০ ম্যাচে ক্যারিয়ারে ১৫৮ উইকেট শিকারী আর এবারের বিশ্বকাপ আসরে ৫ ম্যাচে উইকেট পকেটে জমা করেছেন ১০টি।
তাই পরিশেষে বলা যায়, মাঠের অভিজ্ঞতায় দুই দলের শীর্ষ তিন জনের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানের বিচারে কেউ কারো চেয়ে কম নন। অভিজ্ঞতায় দুই দলই সমানে সমান। আরো একটি কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে, যেমন এই দুই দলই টি২০ বিশ্বকাপের এর আগে দুই বার করে ফাইনাল খেলে বিফল হয়েছে। এবার নিয়ে দুই দলই ফাইনালে তৃতীয় বার খেলতে নামবে। তাই এখানেও অভিজ্ঞতা আর অর্জনের বিচারে দুই দলকে সমান স্তরেই রাখতে হচ্ছে। ফাইনালে কাউকে ফেভারিট তকমা দেয়ার উপায় নেই। সেটাই যদি হতো তাহলে ভারত সেমি-ফাইনালে ১০ উইকেটে ইংলিশদের বিপক্ষে হেরে লজ্জায় মুখ লুকাতো না। মাঠে যে দল সেরাটা দিতে পারবে সে দলই প্রথম বার টি২০ বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পাবে।