WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
ক্রীড়া ডেস্ক
টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তান হারার পরই শোয়েব আখতারের সঙ্গে লেগে যায় মোহাম্মদ শামির। শোয়েবের একটি টুইটের উত্তর দিতে গিয়ে শামি ‘কর্মফলের’ প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। যার পাল্টা দেন শোয়েব এবং পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন শাহিন আফ্রিদি। এ ধরনের ‘যুদ্ধে’ জড়ানো একেবারেই পছন্দ নয় ওয়াসিম আকরামের। এক টিভি চ্যানেলের শোয়ে এই ঘটনার স্পষ্ট বিরোধিতা করেছেন তিনি।
আকরাম বলেছেন, “আমাদের নিরপেক্ষ থাকা দরকার। ভারতীয়রা নিজের দেশের ব্যাপারে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ। আমার সেটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কারণ আমিও আমার দেশকে ভালবাসি। তার বদলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়া, একের পর এক টুইট করা একেবারেই উচিত নয়।”
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা উল হক বলেন, “শুধু মাত্র ‘লাইকের’ জন্য এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। ভারত, পাকিস্তান বা অন্য যে কোনও দেশের ক্রিকেটারই হোন না কেন, আমরা সবাই পরিবারের মতো। আমাদের একে অপরকে সমীহ করা উচিত এবং সে ভাবেই নিজেদের মতামত জানানো উচিত। আমাদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হারের পর একটি টুইট করেছিলেন শামি। তিনি আসলে জবাব দিয়েছিলেন শোয়েবের করা আগের একটি টুইটের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের হারের পর একটি ভগ্ন হৃদয়ের ‘ইমোজি’ দিয়ে টুইট করেছিলেন শোয়েব। সেটি শামি রিটুইট করেন। লেখেন, ‘দুঃখিত বন্ধু। একেই বলে কর্মফল।’ সঙ্গে তিনটি ভগ্ন হৃদয়ের ইমোজি দেন বাংলার জোরে বোলার। শামি বোঝাতে চান, যেমন কর্ম তেমন ফল। অর্থাৎ, পাকিস্তানের হারের পর শোয়েবদের কাটা ঘায়ে খানিকটা নুন ছিটিয়ে দেন তিনি। তার পাল্টা আবার দিলেন শোয়েব।
শামির টুইটের উত্তরে ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের একটি টুইটের উল্লেখ করেছেন আখতার। হর্ষ সেখানে লিখেছেন, “পাকিস্তানের প্রশংসা করতেই হবে। বোর্ডে ১৩৭ রান নিয়ে খুব কম দলই ওদের মতো লড়াই করতে পারত। বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণ ওদের।’’ এই টুইটের উল্লেখ করে আখতার লিখেছেন, ‘‘একেই বলে সংবেদনশীল টুইট।’’ অর্থাৎ, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে শামি সংবেদনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির পরামর্শ, শামির উচিত বিতর্ক থেকে দূরে থাকা। কারণ, এখনও খেলছেন তিনি। একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘শামি এখনও জাতীয় দলে খেলে। এই ধরনের বিষয় ওর এড়িয়ে চলা উচিত।’’ আফ্রিদি আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের দিকে সবাই নজর রাখে। আমরা কী করছি, সেটা দেখে। তাই আমাদের এমন কিছু করা বা বলা উচিত নয় যাতে দু’দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়। হিংসা বা বিদ্বেষ ছড়ানো আমাদের কাজ নয়।’’
ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় নিয়ে আরও জোর দিয়েছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক ভাল করতে হবে। ক্রিকেট তার একটা মাধ্যম। আমরা একে অপরের সঙ্গে যত বেশি খেলব, তত ভাল হবে দু’দেশের সম্পর্ক।’’