WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
ক্রীড়া প্রতিবেদক
রোববার দুপুরের পর থেকেই ক্রিকেটাঙ্গনে টক অব দ্য নিউজ হয়ে গেলেন নুরুল হাসান সোহান। আগের ম্যাচে এই উইকেটরক্ষকের জন্য বাংলাদেশ টি২০ বিশ্বকাপে আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ রান জরিমানা গুনেছে। এবার সোহানের জন্য জেতা ম্যাচ প্রায় হারতে বসেছিল। অধিনায়ক সাকিব সোহানকে সর্তক করার পরও তিনি এ ঘটনা ঘটান! অবশ্যই দলীয় বৈঠকে সোহান এবার আসামীর কাঠগড়ায়।
শেষ ওভারে শেষ বলে নাটকীয় সব মুহূর্ত সামনে উপস্থিত। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের শেষ বলে মানসিক চাপটা যেন আজ একটু বেশিই হয়ে গেছে। শেষ ওভারের শেষ বলটিতে নো-কাণ্ড না বলে ইচ্ছেকৃত ভূল বলাই শ্রেয়। মাঠের দর্শকরা তো বটেই, দুদলের খেলোয়াড়রাও যেন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন!
১৯.৫ ওভার শেষ, শেষ বলের জন্য তৈরি বোলার সৈকত। এই স্পিনার যখন বলটি করেছিলেন, তখন দাগের বাইরে পা দেননি। ব্যাটারের কোমরের উপরে উঁচু ফুলটস বলও দেননি। ওদিকে বাংলাদেশ দল আর অফিসিয়াল সহ হাজার হাজার মাইল দূরে টিভির সামনে কোটি কোটি বাংলাদেশী আনন্দ করছে। তবুও সবাইকে স্তম্ভিত করে টিভি আম্পায়ার নো বলের সংকেত দেন!
মোসাদ্দেক বৈধ ডেলিভারি করার পরও কেন টিভি আম্পায়ার নো কল করেছিলেন? সেটি ঘটনার আকস্মিকতায় অনেকে বুঝে উঠতে পারেননি। আসলে কেন নো বল দেয়া হয়েছিল? এমসিসির প্রণীত আইন কি বলছে?
আইসিসির আইনে ২৭.৩.১ ধারা অনুযায়ী বোলার ডেলিভারি করার পর বল ব্যাট ও ব্যাটারকে স্পর্শ না করা পর্যন্ত, অথবা বল স্ট্রাইকার প্রান্তের উইকেট অতিক্রম না করা পর্যন্ত, বা ব্যাটার দৌড়ের চেষ্টা করার আগ পর্যন্ত কিপারকে স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা স্টাম্পের পেছনে থাকতে হবে।
টিভি আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি আইনের ওই ধারা মোতাবেক নো বলের সংকেত দিয়েছিলেন। কারণ আইনটিতে আছে, উইকেটরক্ষক যদি উপরোক্ত আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে স্ট্রাইক প্রান্তে (স্কয়ার লেগ) থাকা আম্পায়ার বল ডেলিভারির পর যতদ্রুত সম্ভব নো বলের সংকেত দেবেন।
স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মরিস এরাসমাস নো বলের সংকেত দেননি। ফলে সোহান স্টাম্প ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই জয়ের আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ। দুদলের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সোহান স্টাম্প ভেঙে দিলে সবাই ভেবেছিলেন খেলা শেষ। যদিও নাটক ছিল বাকি তখনও।
কারণ দ্রুতই সংকেত আসে মুজারাবানি আউট নন। শেষ বলে তিনি এগিয়ে এসে মারতে গিয়েছিলেন। বল তার ব্যাটে লাগেনি। সোহান তখন স্টাম্প ভেঙে দেন। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখায়, সোহান বল ধরার আগেই গ্লাভস স্টাম্পের সামনে বাড়িয়েছিলেন। তাতেই টিভি আম্পায়ার নো ডাকেন।
পরে শেষ বলটি আবারও করতে হয় মোসাদ্দেককে। ফ্রি-হিটে অবশ্য ব্যাটেই বল লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। সোহানের গ্লাভসে হয় জমা। নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া ৩ রানের জয়ে হাসে বাংলাদেশ