২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৬৩টি আসন রেখে দিল কেন?
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান দুই নেত্রী–নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এবারও নির্বাচন করবেন নিজ নিজ শক্ত ঘাঁটি থেকে। খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতাদের মনোনয়ন ও আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করা হয়। এর আগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেয় বিএনপি।
ঘোষিত তালিকায় মহাসচিবসহ বেশ কিছু শীর্ষ নেতা মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঠাকুরগাঁও-১ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা-৮ থেকে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কুমিল্লা-১ থেকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নরসিংদী-২ থেকে আবদুল মঈন খান এবং চট্টগ্রাম-১০ থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
২৩৭ জনের তালিকায় মাত্র ১০ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়া একাই তিনটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে ফরিদপুর, নাটোর, যশোর, ঝালকাঠি, শেরপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আরও কয়েকজন নারী মনোনয়ন পেয়েছেন।
তবে এই ঘোষণা ঘিরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল ও আলোচিত সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা এই তালিকায় নেই। এক পরিবারের একাধিক সদস্যকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্তের কারণে কয়েকজন শীর্ষ নেতার আত্মীয়ও বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে।
৩০০ আসনের মধ্যে এখনও ৬৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলীয় নেতাদের দাবি, এ আসনগুলো রাখা হয়েছে মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার জন্য। পাশাপাশি কিছু এলাকায় একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও স্থানীয় বিরোধের কারণে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা যায়নি।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব জানান—এটি কেবল একটি প্রাথমিক তালিকা। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আসন পরিবর্তন বা নতুন প্রার্থী যুক্ত করার সুযোগ থাকবে।














