চীনে সুঁই দিয়ে ব্রেইন স্টোক প্রতিরোধ

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৬, ২০১৬ সময়ঃ ৪:০৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:১০ অপরাহ্ণ

তাজিন আকতার

file (29)চীনের অধ্যাপকরা বলছেন যে কারো স্ট্রোক হচ্ছে যদি এমন দেখেন তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে:

যখন কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তার মস্তিষ্ক কোষ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়।মানুষের ফার্স্ট এইড এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। যদি দেখেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরানো যাবে না কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে, এটা ভাল হবে যদি আপনার বাড়ীতে পিচকারি সুঁই থাকে, অথবা সেলাই সুঁই থাকলেও চলবে, আপনি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগুনের শিখার উপরে সুচটিকে গরম করে নেবেন যাতে করে জীবাণুমুক্ত হয় এবং তারপর রোগীর হাতের ১০ আঙ্গুলের ডগার নরম অংশে ছোট একটা ছিদ্র করতে এটি ব্যবহার করুন। এমনভাবে করুন যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়, কোন অভিজ্ঞতা বা পূর্ববর্তী জ্ঞানের প্রয়োজন হবে না।

কেবলমাত্র নিশ্চিত করুন যে, আঙ্গুল থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রক্তপাত হচ্ছে। এবার ১০ আঙ্গুলের রক্তপাত চলাকালীন, কয়েক মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন দেখবেন ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছে।

যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করুন। এমনভাবে তার কান ম্যাসেজ করুন যাতে ম্যাসেজের ফলে তার কান লাল হয়ে যায় এবং এর অর্থ হচ্ছে কানে রক্ত পৌঁছেছে।

তারপর প্রতিটি কান থেকে দুইফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য প্রতিটি কানের নরম অংশে সুচ ফুটান।কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না।আরও অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। যতক্ষণ না রোগী স্বাভাবিক হচ্ছে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করান।

জীবন বাঁচাতে রক্তক্ষয় পদ্ধতি চীনে প্রথাগত ভাবে চিকিৎসার অংশ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগ, ১০০ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

কিছু স্বভাব পরিবর্তন করলে স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমে আসে, যেমন-

১. ধূমপান ত্যাগ করা
২. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা
৩. অলস জীবনযাপন না করা
৪. মদ্দপান পরিহার বা কমিয়ে আনা
৫. অধিক চর্বি ও অধিক কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার কম খাওয়া
৬. খাবার লবন কম গ্রহন করা
৭. খাবারে শাকসবজির পরিমান বাড়ানো
৮. খাবারে মাংসের পরিমান কমিয়ে মাছের পরিমান বাড়ানো ইত্যাদি।

শিক্ষণীয়:  নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে যেমনি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায় তেমনি সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্ট্রোক-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতিও কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই আমাদের সকলেরই যেমন এ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও সচেতনতা থাকা প্রয়োজন তেমনি আমাদের নিকটজনকে এ বিষয়ে সচেতন করাও আমাদের দায়িত্ব।

বি:দ্র: এখন থেকে প্রতিক্ষণে  নিয়মিত সচেতনতামূলক লেখা প্রকাশিত করা হবে। প্রতিক্ষণের সাথেই থাকুন। 

=======

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
20G