WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

পুনর্জন্ম কি অসম্ভব? পুনর্জন্ম কি অসম্ভব?

পুনর্জন্ম কি অসম্ভব?

প্রকাশঃ জুন ৭, ২০১৫ সময়ঃ ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ

ইয়াসীন পাভেল, প্রতিক্ষণ ডট কম:

maxresdefaultপুনর্জন্ম কি সত্য? একজন মানুষ এ পৃথিবীতে কতবার জন্ম নেয়? মানুষ কি তার অতীত জন্মের কথা মনে রাখতে পারে?

সেই আদিকাল থেকেই এরকম নানা রকম প্রশ্ন সচেতন মানুষের মনে ঘুরপাক খায়। অনেক ধর্ম বিশ্বাসে পুনর্জন্ম লাভের কথা থাকায় একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। আবার কেউ কেউ এটাকে অসম্ভব বলে একেবারে উড়িয়ে দেন। পুনর্জন্ম সত্যি কি মিথ্যা সেই বিতর্কে না গিয়ে  আজ এমন কিছু বাস্তব ঘটনা উপস্থাপন করছি যা সবাইকে চিন্তায় ফেলে দেবে।

১) এডওয়ার্ড অস্ট্রিয়ানঃ

প্যাট্রিসিয়া অস্ট্রিয়ানের ৪ বছরের ছেলে এডওয়ার্ডের খুব অদ্ভুত ফোবিয়া বা ভীতি ছিল, সেটা হচ্ছে সে মেঘলা দিনগুলোকে ভয় পেত। এক সময় সে বলতে শুরু করে যে, তার গলার ভেতরে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। সে প্রায়ই বলতো, তার গলার ভেতরের গুলিটা রয়ে গেছে। সে প্রায়ই তার মাকে অতীত জীবনের কথা বলতো। সে বলতো সে ১ম বিশ্বযুদ্ধে একজন সৈনিক ছিল ও তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। সে ঘটনা গুলোর এত নিখুঁত বর্ণনা দেয় যে, তা অবিশ্বাস করার মতো উপায় ছিল না। তাকে চিকিৎসকদের কাছে নেয়া হলে চিকিৎসকরা প্রথমে কিছুই খুঁজে পাননি। এরপর তার গলার টনসিল অপারেশন করা হয়। এরপরেই তার গলার ভেতরে অত্যন্ত রহস্যময় ধরণের ‘সিস্ট’ বা ফোসকার মত একটি জিনিস দেখা যায়। চিকিৎসকরা বুঝতে পারছিলেন না কিভাবে এটাকে দূর করা যাবে। এদিকে এডওয়ার্ড তার বাবা-মা কে বলতে থাকে তার পূর্ব জন্মের বিভিন্ন ঘটনা। একদিন হঠাৎ করেই ফোসকাটি মিলিয়ে যায় ও চিকিৎসকরা এর কোন কারণই বের করতে পারেননি।

২) দাদা যখন নাতি কিংবা নাতি যখন দাদাঃ

শিশুটির নাম গাস টেইলর। মাত্র ১৮ মাস বছরে সে বলতে শুরু করে যে, পূর্ব জন্মে সে ছিল নিজেরই দাদা। ছোট বাচ্চারা অনেক সময়ই নিজেদের চিনতে পারে না, কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনা ভিন্ন। গাসের জন্মের এক বছর আগে তারা দাদা মারা যান। ছোট শিশুটির দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, সে এবং তার মৃত দাদা একই ব্যক্তি। যখন তাকে কোন পারিবারিক ছবি দেখানো হত, কেউ চিনিয়ে না দিলেও সে ছবিগুলোতে তার দাদাকে চিনতে পারতো, যদিও ছবিগুলোতে হয়তো আরো বয়স্ক মানুষ ছিলেন।

ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করে যখন গাস এমন সব পারিবারিক গোপন ঘটনা নিয়ে কথা বলে যেটা তার জানার কথা নয় বা এর আগে কেউ সেটা নিয়ে তার সাথে কথাও বলেনি। গাসের দাদার নাম ছিল অজি (Augie)। অজির বোনকে খুন করা হয় ও স্যান ফ্র্যান্সিস্কো উপসাগরে ফেলে দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে গেল যখন তারা দেখল যে, ৪ বছর বয়সের গাস সেই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলছে ও খুন হওয়া মেয়েটিকে নিজের ‘বোন’ বলে পরিচয় দিচ্ছে। গাস বলে সে আসলে অজি, যাকে ঈশ্বর মৃত্যুর পর একটি টিকেট দিয়েছেন যেটা দিয়ে তিনি একটি হোল বা গর্তের মাঝ দিয়ে পরজন্মে উপস্থিত হয়েছেন।

৩) ইমাদ এলাওয়ারঃ

লেবাননের ৫ বছর বয়সী ইমাদ এলাওয়ার হঠাৎ করেই তার পূর্ব জীবন নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। আগের জীবনে সে নাকি তাদের পাশের গ্রামে বাস করতো। সে যখন কথা বলতে শুরু করে তখন প্রথম দুটি শব্দ ছিল ‘মাহমুদ’ ও ‘জামিলেহ’। দুই বছর বয়সে সে যখন হাঁটতে শুরু করে তখন সে রাস্তায় বের হয়ে অপরিচিত পথচারীদের আটকে বলতো, “আমরা বন্ধু ছিলাম, আমাকে চিনতে পারছো না! সে এরকম ৫৫ টি ঘটনার কথা বলে যেগুলো সে দাবি করে যে, তার পূর্ব জন্মে ঘটেছিল।

ডক্টর ইয়ান স্টিভেনসন ইমাদ ও তার বাবা-মা’র সাথে কথা বলেন, শুরু করেন ঘটনার তদন্ত। ইমাদ, তার বাবা-মা ও স্টিভেনসন সেই গ্রামে গেলেন যেটা নিয়ে ইমাদ আগে কথা বলেছিল। সে বাড়িটি খুঁজে পাওয়া গেল যেটা ইমাদের দাবি অনুসারে তার পূর্ব জন্মের বাসস্থান ছিল। এরকম ১৩ টি নিদর্শন পাওয়া গেল যেগুলো নির্ভূল বলে প্রমাণিত হলো। ইমাদ ঐ বাড়িতে পাওয়া বিভিন্ন ছবি দেখে তার পূর্ব জন্মের চাচা মাহমুদ ও প্রেমিকা জামিলেহকে চিনতে পারে। যাই হোক, ইমাদের দাবি করা ৫৭ টি দাবির মাঝে ৫১ টি প্রমাণিত হয়।

৪) স্টিভ জবসঃ

স্টিভ জবসের মৃত্যুর পর অ্যাপল’র একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার টনি সিউং থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি দলের কাছে এটা জানতে চেয়ে একটি ইমেইল পাঠালেন যে, মৃত্যুর পর স্টিভ জবস কেমন আছেন এবং অত্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে সেই ইমেইলের উত্তরও পেয়ে যান তিনি। এতে লেখা হয়, মৃত্যুর পর জবস এখন স্বর্গের একজন দার্শনিক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপল হেডকোয়ার্টারের ঠিক ওপরেই স্বর্গে একটি কাঁচের প্রাসাদে বসবাস করছেন।

মালয়েশিয়াতে জবসের ভক্তরা তার মৃত্যুর পর এক অদ্ভুত অনুষ্ঠান পালন করেন। তারা প্রত্যেকেই একটি একটি আপেল নিয়ে তাতে এক কামড় দেন ও বাকি আপেলটুকু সজোরে নিক্ষেপ করেন সমুদ্রে। তাদের বিশ্বাস ছিল এর ফলে জবসের পুনর্জীবন লাভ দ্রুত হবে। ধাম্মাকায়া মন্দিরের পুরোহিত ‘Phra Chaibul Dhammajayo’ নিশ্চিত যে, জবস পুনর্জন্ম নিয়েছেন ও শিল্প-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে তার আগ্রহ আছে। শুধু তাই নয়, এটাও বলা হয় তার অনুসারীদের সাথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় যোগাযোগ করেণ!

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G