WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

ভালোবাসা দিবসের দোহাই আমি তোমাকেই ভালোবাসি.. ভালোবাসা দিবসের দোহাই আমি তোমাকেই ভালোবাসি..

ভালোবাসা দিবসের দোহাই আমি তোমাকেই ভালোবাসি..

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫ সময়ঃ ১২:০৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:০৪ অপরাহ্ণ

আকিদুল ইসলাম, প্রতিক্ষণ ডটকম

love_smile_by_xchristina27x-d30vs9wসেদিন ছিলো রবিবার। বসন্তের বিকাল, এমনিতেই মন-মেজাজ চনমনে, ফুরফুরে। বসন্তের দখিনা বাতাসে মনকে সতেজ করে তুলছে। সবে মাত্র কোচিং থেকে এসেছে বাদল। সে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স(সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ক্লাস শেষ করে রুমে ঢুকতেই কানে ভেসে এলো বসন্তের গান। বাদলের অবশ্য শিল্প সাহিত্যের প্রতি আলাদা অনুরাগ ছিলো। সেই সুর তার পকেটে বাজছে। তার মানে ফোন থেকে ভেষে আসছিল গানটি।

ওটা ছিলো বাদলের রিংটোন। ফোন রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে শান্ত স্নিগ্ধ গলায় ভেসে এলো পড়তে যাবে কখন? যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেয়ো। অবাক হয়ে উত্তরে বাদল বললো,‘পড়তে তো যাবো না, মাত্র পড়িয়ে আসলাম’।

সহসা বুঝতে পেরে দু:খিত বলে রেখে দিল ফোনটা। তবে বাদলের মনে কোন অনুভূতি না হলেও ভাবলো একটু যে, পড়ানো আর পড়া বেশি পার্থক্য নয়। দুটোর অবস্থান খুব কাছাকাছি। অর্থাৎ পরস্পর সম্পর্কিত। না পড়লে পড়াবে কে ? আর না পড়ালে পড়বেই বা কে ? বিষয়টা ভেবেই ভালো লাগলো বাদলের। ভাবতে ভাবতেই জুতো মোজা খুললো বাদল।

কৌতূহলি মন বাদলকে নাড়া দিলো নিজেই নিজেকে বললো কি অদ্ভুদ আমি? একবার ও জানতে চাইলাম না সে কে ? কাকেই বা পড়তে যেতে বলছে? নিজের কৌতূহল মেটানোর জন্য বাদল ফোন দিলো। কোন উত্তর নাই।

কিছুক্ষণ পর আবার ফোন বেজে উঠলো। ধরতেই সরু গলার আওয়াজ কানে ভেসে উঠলো। ভাইয়া ফোন দিয়োছলেন? হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলো বাদল। জানতে চাইলো আপনি কে? কোথা থেকে আপনি ফোন দিয়ছিলেন?  উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন! আপনি কি অদ্ভুত ভাইয়া। তখন আপনি হঠাৎ কি সাবলীল ভাবেই উত্তর দিলেন পড়তে যাবো না পড়িয়ে আসলাম।

কিন্তু বাদল তাকে আবার সেই প্রশ্ন আবার করলো আপনি কে? খুব শান্ত ভাবেই বললো আমি নেহা। পড়াশোনা করছি এতটুকুই থাক আর কিছু না। বাদল বললো আমিতো আর তেমন কিছু বেশি জানতিই চাইনি নেহা। নেহা তাহলে ভালো থাকো ! এই বলে ফোনটা রেখে দেয় বাদল।

বসন্ত প্রায় শেষ। ফোন বেজে ওঠে বাদলের। রিসিভ করতেই শোনে ভাইয়া ক্যামন আছেন? আমি নেহা বলছি, আমাকে চিনতে পারছেন?

ভালো বলে উত্তর দিলো বাদল এবং কেমন আছে জানতে চাইলেই নেহা বলে,‘ভাইয়া আমি আপনার জুনিয়র আমাকে আপনি বললে খারাপ লাগবে, তুমি করেই বললে ভালো হয়। কথার এক পর্যায়ে নেহা বাদলের কাছ থেকে জানকে পারে সে রাজশাহীতে কলেজে পড়েছে। নেহা বলে ভাইয়া আমি কিন্তু ওখানেই পড়ছি।

দুজনের স্মৃতির নিকটবর্তী হবার কারণে বাদল ও নেহার ফোনালাপটা চলতে থাকে অনেক সময় এমনকি অনেক দিন।
মাঝখানে দুমাস-তিনমাস পরে পরে ফোনে কথা হয় তাদের। ভালোলাগা না ভালোবাসা সেই ব্যখ্যারা প্রয়োজন তাদের কাছে তখন থাকে না। কবিতা আবৃত্তি নানা স্মৃতির প্রতিফলনই ঘটে তাদের কথায়।

এভাবে দীর্ঘ তিন বছর পার করে দুজনে। এদিকে বাদলের অনার্স শেষ। এই তিন বছরের মধ্যে সামান্য ভালোলাগা থেকে ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয়েছে যা দুজনের কেউ স্বীকার করে না।
হঠাৎ করেই বাদল নেহার কাছে সত্য জানতে চাই। যদিও সে কিছুই মনে করে জানতে চাইনি। তার পরও নেহা নিজে তার কথা বলে ভাইয়া এ যাবৎ যা বলেছি তার অধিকাংশ ছিলো মিথ্যা।………….

আমার নাম হলো অহনা। নেহা আমার ডাক নাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। আপনার সম্পর্কে আমি সবই জানতাম। এত দিন আপনি যা যা আমাকে বলেছেন সবই ঠিক কিন্তু আমি অনেক কিছু লুকিয়েছি আপনার কাছে। আপনিতো কোন ভাণিতা করেন না । আমি লুকিয়ে এখন নিজেই লজ্জা পাচ্ছি। আপনার বন্ধুই আমাকে নাম্বর দিয়েছিল। তবে এর আগে আমি যা বলছি আপনি সবই বিশ্বাস করেছেন যার কারণে আমার বেশি খারাপ লেগেছে। ভালোবাসতে এতটুকুই যথেষ্ট ভাইয়া।… সরল স্বীকারুক্তিতে শান্ত হয়ে শুনেছিল বাদল আর কিছুই সে বলেনি…………

পরের বছর বসন্তের কাছাকাছি, এর মধ্যে চারটি বছর পেরিয়ে গেছে তাদের। বাদলের বন্ধু সুমন যার কাছ থেকে নেহা নাম্বর নিয়েছিল সে একদিন বিকালে বাদলকে একটি কবিতা পাঠায় ফেসবুকে। অসাধারণ একটি কবিতা যা পড়ে দুই বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল তার। কোন এক রাতে শুনেছিল বাদল এই কবিতা। কিন্তু কি ভাবে সম্ভব? সাথে সাথে নেহা কে ফোন দেয় বাদল। বলে কবিতাটা কার?…..

নেহা তখন বুঝতে পারে বলে আর স্বীকার করে নেয় যে, ওটা সুমনের লেখা কবিতা। সুমন অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন দেওয়ার সময়ে লিখেছিলো এটি। বিস্তারিত জানতে চাইলে নেহা বলে সুমন আমাকে ভালোবাসতো। আর আমাকেই এই কবিতাটা লিখেছিলো।
সে বলে সুমন আর আমি একই কোচিং এ কোচিং করতাম, তখন থেকে সে আমাকে পছন্দ করতো।

এমন কি আমাকে ভালোবাসতো কিন্তু আমি ভালোবাসতাম না, সে একই সাথে আমার বান্ধবীকেও পছন্দ করতো। কিন্তু সুমন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে চলে গেল তখন আমি বুঝতে পারলাম আমি কি যেন হারিয়ে ফেলেছি। যার কারণে পরে আমি তাকে অনেক বলেছি কিন্তু সে আর আমার ডাকে সাড়া দেয় নি। আমার কোন নিবেদন সে গ্রহণ তখন করেনি।

পরে একদিন কোচিং এর পূর্মিলনীতে আসলে আমি তার মোবাইল থেকে নাম্বার নিয়েছি। তোমার সাথে কথা বলে তাকে কষ্ট দিতে চেয়েছি।

কিন্তু তুমি বিশ্বাস করো একবার, আমার এখন যে এমন হবে বুঝতে পারিনি। এই দীর্ঘ দিন তোমার ব্যক্তিত্ব, বাগ্মীতা, আমাকে মুগ্ধ করেছে। সত্যি সত্যি আমি এখন তোমাকে ভালোবেসেছি। আমি নিজেই বন্দি হয়েছি তোমার ভালোবাসায়। কথা দিলাম আমার এই প্রপঞ্চ আমি ভালোবাসার বিনিময়েই দিবো তোমাকে। ভালোবাসা দিয়েই আমি মুক্ত হতে চায় আমার এই কৃষ্ণ বন্ধন থেকে…….
আজ বাসন্তিতে ভালোবাসা দিবসের দোহাই আমি তোমাকেই ভালোবাসি…….এ্যাই কথা বলছো না ক্যান…?

প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G