মুসলিম জাতির সুদৃঢ় ভিত্তি

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫ সময়ঃ ১:৩৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৩৩ অপরাহ্ণ

ধর্ম চিন্তা ডেস্ক, প্র্রতিক্ষণ ডটকম:

unityপরম করুণাময়, দয়ালু, সুমহান আল্লাহ্‌ তা’আলার জন্যই সকল প্রশংসা। যিনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক। সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হোক।

যাঁকে আল্লাহ্‌ পাক সুষ্পষ্ট সত্য পথ নির্দেশনাসহ প্রেরণ করেছেন, এমন একটি যুগ সন্ধিক্ষণে, যখন বিশ্ববাসী তাদের বিশ্বাস ও আচরণসহ জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে গভীর অজ্ঞতা ও পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত ছিল।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন সত্য-ন্যায়ের মূর্ত প্রতীক। উদারতা, বদান্যতাসহ যাবতীয় মহৎ গুণের অধিকারী ছিলেন তিনি।

নবুয়াত প্রাপ্তির পূর্ব চল্লিশ বছর পর্যন্ত তিনি স্বগোত্রের মানুষদের নিকট ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তিরূপে খ্যাত। তাই অহী প্রাপ্তির প্রাক্কালে কখনোই কেউ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন বিরোধিতা করে নি।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুয়াত লাভ করার পর মানব জাতিকে সরল, সঠিক, মুক্তির পথে আহ্বান জানালেন। জাতিকে ইহ-পরকালীন কল্যাণ ও মুক্তির বাণী শোনালেন এবং স্বীয় আদর্শের নিশ্চিত সফলতায় পূর্ণ বিশ্বাসী হয়ে তিনি একান- নিষ্ঠা ও পরম ধৈর্যের সাথে সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকেন। রাসূলগণের (আঃ) মধ্যে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠতম।

আমাদের প্রিয় নবী ছিলেন নিরক্ষর, অথচ বিষ্ময়কর এক পবিত্র মহাগন্থ আল কুরআন জগত বাসীর নিকট পেশ করলেন। কুরআন সর্বোত্তম আসমানী কিতাব, এ বিষয়ে সন্দেহকারী মানুষ্য ও জ্বিন জাতিকে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন।

আল্লাহ্‌ বলেনঃ “(হে রাসূল!) আপনি বলুন! যদি মানব-দানব একত্রিত হয়ে এই কুরআনের অনুরূপ কিছু আনয়ন করতে চায়, তবু তারা তা আনতে সক্ষম হবে না। যদিও পরষ্পর তারা সহযোগী হয়।” (সূরা ইসরা- ৮৮)

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জগতের জন্য কল্যাণকর, বিবেক-বুদ্ধি সমর্থিত, সহজ-সরল এবং ন্যায় সঙ্গত এক বিধান নিয়ে আসলেন। যা মানব জাতির স্বভাব ও প্রকৃতির পূর্ণ অনুকূল।

যা তাদের পরিশুদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মহান অন-র বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ সে বিধানকে আনন্দচিত্তে গ্রহণ করলেন এবং এর হেফাযত ও বাস-বায়নে সীমাহীন নিপীড়ণ-নির্যাতন সহ্য করলেন। এমনকি এ পথে সহাস্য জীবন বিসর্জনেও তাঁরা সামান্যতম কুন্ঠাবোধ করেননি। যা মুসলিম মিল্লাতের জন্য চির অনুসরণীয়।

আল্লাহ্‌ তা’আলা যাকে ইচ্ছা তাকে রাসূলের মাধ্যমে সঠিক পথ দেখালেন। আর যারা এ পথের সন্ধান পেয়ে ধন্য হলেন, তাঁরা সুদৃঢ়ভাবে অনুসৃত আদর্শের অনুসরণ করতে থাকেন। জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেই একমাত্র আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। এটাই সত্য ন্যায়ের পথ, আর সত্যের বিজয় সুনিশ্চিত।

আল্লাহ্‌ বলেনঃ “হে রাসূল আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। নিশ্চয় মুত্তাক্বীদের (আল্লাহ্‌ ভীরুদের) জন্যই শুভ পরিণতি।” (সূরা হুদ- ৪৯)।

প্রতিক্ষণ/এডি/ইসলাম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
20G