WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

কাল তো প্রায় তোমার প্রেমে পড়েই গিয়েছিলাম কাল তো প্রায় তোমার প্রেমে পড়েই গিয়েছিলাম

কাল তো প্রায় তোমার প্রেমে পড়েই গিয়েছিলাম

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬ সময়ঃ ২:২৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:২৭ অপরাহ্ণ

চবি প্রতিনিধি

cuনির্মলেন্দু গুণের সেই কবিতার (মায়া হরিণ) মতোই বলতে ইচ্ছে করে…‘কাল তো প্রায় তোমার প্রেমে পড়েই গিয়েছিলাম।… মায়া-হরিণ জড়াতে যাবো যেই, দেখি তোমার আমার মাঝখানে.. বন বাওয়ালী যমের মত  খাড়া।’ এমনই এক হরিণের দেখা মেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু এই এক প্রজাতিরই হরিণ রয়েছে ক্যাম্পাসে। চাহনি দেখে মনে হচ্ছে, প্রেমানুভূতিতে আকুল মায়া।

মায়া হরিণ বা কাকর হরিণ। ইংরেজি নাম Indian Muntjac or Barking Deer। এরা হরিণ প্রজাতির অন্যতম খর্বকায় ও লাজুক সদস্য। ছোট আকারে লালচে বাদামী পিংগল রং এর ফোঁটাবিহীন। এ হরিণের চলাফেরা ও জীবনধারণ খুবই চমৎকার। মায়া হরিণ ভয় পেলে বা শিকারী প্রাণী দেখতে পেলে কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করে বলে এদের বার্কিং ডিয়ারও বলে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু এই এক প্রজাতিরই হরিণ রয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ছাড়াও মায়া হরিণের বসবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে এবং উত্তর-পূর্ব ভারত , বাংলাদেশ , নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, চীনের দক্ষিণাঞ্চল, ইন্দোনেশিয়া ও এর দ্বীপসমূহ মায়া হরিণের আবাসস্থল। এরা সাধারণত পানির আশেপাশে বসবাস করে।

dearচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মায়া হরিণের সংখ্যা জানতে প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজী আজমতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে হরিণের প্রকৃত সংখ্যা তার জানা নেই। আরও কয়েকজন প্রাণী বিশেষজ্ঞও হরিণের প্রকৃত সংখ্যা জানাতে পারেননি। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

এই হরিণগুলো আসলে বিশাল এক ইতিহাসের সাক্ষী। জীবাশ্ম বিজ্ঞানীদের মতে, ১২ হাজার বছর পূর্বে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষের দিক থেকে মায়া হরিণের অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণগুলোর গড় ওজন ১৭ কেজি ও উচ্চতা ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত। পুরুষ মায়া হরিণের এক জোড়া শিং থাকে। শিং জোড়া এক থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা। এই শিংয়ে আবার দুই থেকে তিনটি শাখা থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরা সাধারণত একা চলাফেরা করে। এখানকার মায়া হরিণ সর্বভুক, ঘাস-লতাপাতা থেকে শুরু করে পাখির ডিম এবং খুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণীও খায়!

মায়া হরিণদের এই বিচরণক্ষেত্রে পুরুষ হরিণের আধিপত্য একচেটিয়া। একটি পুরুষ মায়া হরিণ তার নিজস্ব এলাকার মালিক। সেখানে বসবাস করা সব হরিণী তার অধিকারে থাকে। অন্য এলাকার কোন হরিণ তার এলাকায় প্রবেশ করতে দিতে একদমই অনিচ্ছুক তারা।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G