কুবিতে শোক দিবসে ক্লাস; শিক্ষককে বাধ্যতামুলক ছুটি

প্রথম প্রকাশঃ আগস্ট ১৭, ২০১৭ সময়ঃ ১১:৩১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৩২ অপরাহ্ণ

১৫ আগস্ট জতীয় শোক দিবসে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ তুলে এবং শাখা ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়াকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সেই সাথে এই ঘটনা তদন্ত করতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এদিকে শাখা ছাত্রলীগ বৃহস্পতিবারও প্রশাসনিক ভবন এবং একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করায়  সিঁড়িতে বসে মিটিং করেছে শিক্ষক সমিতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের  রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী  ও শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে ক্লাস নেয়াকে কেন্দ্র করে ঐ শিক্ষককে ২০ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ছুঁটি প্রদান করা হয়।এ ঘটনায় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ কে আহবায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তকে বর্জন করে  রবিবার থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে  সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপাচার্য তার বাসভবনে যাওয়ার পথে উপাচার্যের গাড়ি ঘিরে ধরে তার সাথে কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। রাত ৭ টা ৪৫ মিনিট এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত উপাচার্যের সাথে শিক্ষকদের বাকবিতন্ডা চলতে থাকে। এসময় শিক্ষক নেতারা এই  সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে শিক্ষকদের সবাইকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিতে  আবেদন করে। এসময় উপাচার্য পন্থী শিক্ষকদের সাথে  শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ ভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যেও বাকবিতন্ডা হয়। 

এই ঘটনায় ভুক্তভূগী শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি যদি অপরাধ করে থাকি তাহলে আমাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করে ছুঁটিতে পাঠানোর অর্থই হল আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। 

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.আবু তাহের বলেন, উপাচার্য ক্ষোভের বর্শবর্তী হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপাচার্যের কাছে আমরা এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করতে দাবি জানিয়েছি না হয় আমাদের সবাইকে বাধ্যতামূলক ছুঁটি দিতে অনুরোধ করেছি। 

এদিকে সিন্ডিকেটের সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবারও একাডেমিক ভবনসহ প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে যায়। এবিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফের কার্যালয়ে গেলে তিনি রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলতে বলেন। 

উল্লেখ্য,  গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগে গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়াকে বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। 

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G