WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

সম্ভাবনাময় ফল লটকন সম্ভাবনাময় ফল লটকন

সম্ভাবনাময় ফল লটকন

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫ সময়ঃ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:১০ অপরাহ্ণ

কৃষি প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

Lotkonএকশো বছর কথা আগে আমাদের দেশে সর্ব প্রথম লটকনের চাষ শুরু হয়। অঞ্চলভেদে ফলটির রয়েছে বিভিন্ন নাম। চট্টগ্রামে এর নাম ‘হাড়ফাটা’, সিলেটবাসী চেনে ‘ডুবি’ নামে। ময়মনসিংহের লোকেরা বলে থাকে ‘কানাইজু’। এ ছাড়া ‘লটকা’, ‘লটকাউ’, ‘কিছুয়ান’ এসব নামেও ফলটি বেশ পরিচিত।

আঙুরের মত থোকায় থোকায় ধরে বলে ইংরেজিতে এর নাম Burmese grap। বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea sapida গাছ ছোটখাটো ঝাঁকড়া ধরনের। পাতা ডিম্বাকৃতির, গাঢ় সবুজ। লটকন নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণামূলক কাজ হয়েছে। গবেষকেরা বারি-১ নামে আমাদের দেশে চাষ উপযোগী লটকনের একটি উন্নতজাত উদ্ভাবন করেছেন।
লটকন খাদ্যমান সমৃদ্ধ ফল। ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর চাষও লাভজনক। চাষ করতে বাড়তি কোনো জায়গার প্রয়োজন হয় না। আঙিনায় বা বড় বড় গাছের নিচে অধিক ছায়াযুক্ত জায়গায় খুব সহজেই লটকনের আবাদ করা যায়। লটকন চারা রোপণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন নার্সারি থেকেই লটকন চারা সংগ্রহ করা যায়।

লটকন গাছ রোপণের তিন-চার বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করে। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে লটকন গাছে ফুল আসে। ফুল আসার আগে মার্চ মাসে গাছটির গোড়ার মাটি সামান্য কুপিয়ে তাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার প্রয়োগ করে হালকা সেচ দিলে ফলন বৃদ্ধি ও আকার বড় হয়।

লটকন গাছের রোগবালাই তেমন দেখা যায় না। অধিক ছায়াযুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠায় মাঝে-মধ্যে গাছে ছত্রাক জাতীয় আবরণ পড়ে থাকে। তখন ফলের ওপর ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়ে ছত্রাক থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব। এতে ফলের রঙ উজ্জ্বল হয়।

এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে লটকন গাছে ফুল এলেও জুলাই মাসের প্রথম থেকেই ফল পাকতে শুরু করে। ফল পাকলে পরিপক্বতা অনুযায়ী ছড়া ছড়া ফল সংগ্রহ করতে হয়। লটকন ফলের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এমনভাবে ফল ধরে যে, তাতে গাছের কাণ্ড বা ডাল অনেক সময় দেখা যায় না।

আর একটি বিষয় মনে রাখা দরকার যে, লটকন পাকার ৫০ থেকে ৬০ দিন আগে গাছপ্রতি ৫০ গ্রাম পটাশ পানির সঙ্গে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিলে ফলের মিষ্টতা ও আকার বৃদ্ধি পায়। একটি ১০ বছরের লটকন গাছে গড়ে প্রায় ২০০ কেজি লটকন ধরে। ফল হিসেবে লটকন ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন ও খনিজ লবণে সমৃদ্ধ।

বাংলাদেশে প্রায় ৭০ প্রকারের ফল জন্মে। সাধারণত বসতবাড়ির আঙিনা থেকে আসে এসব ফল। বর্তমানে ৩ লাখ ৪৪ হাজার একর জমিতে বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার টন ফল উৎপাদন হচ্ছে। গুণগত মানসম্পন্ন ফল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি অনুসরণ, গবেষণাগারে উদ্ভাবিত নতুন জাত ব্যবহার এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফল সংগ্রহকরণ, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা অনুশীলনের মাধ্যমে ফলের আশানুরূপ ফলন বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিকভাবে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।

প্রতিক্ষণ/এডি/সিফাত

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G