WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

সুস্থ থাকতে চাইলে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন সুস্থ থাকতে চাইলে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন

সুস্থ থাকতে চাইলে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন

প্রথম প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭ সময়ঃ ১২:০৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:০৫ অপরাহ্ণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর সেটা আমরা কমবেশী সকলেই ভালোমতো জানি। চিনি এমন একটা উপাদান যা শরীরে ক্ষতি ছাড়া কোন ভালো করে না। তবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, চিনি খাওয়া যদি ছেড়ে দেই তবে কি কি উপকার হতে পারে!

চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কী উপকার হতে পারে জেনে নিন এই ফিচার থেকে।

১/ আপনাকে দেখতে অনেক কম বয়স্ক লাগবে
গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, আপনি যে পরিমাণ চিনি গ্রহণ করেন খাদ্য হিসেবে তা রক্তে মলিক্যুলার ডোমিনো প্রভাব অথবা গ্লাইকেশন তৈরি করে। যার ফলে ত্বকের নমনীয় ভাব এবং ত্বকের নমনীয়তা এবং স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। তাই আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার ত্বকের সমস্যা এবং বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তবে খুব দ্রুত চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিন।

২/ আপনার পেটের মেদ কমে যাবে
পেটের মেদ খুবই খারাপ এবং ভয়াবহ জিনিস। পেটের মেদ সাধারণত পেটের ভেতরের বিভিন্ন অন্ত্রে যেমন: যকৃৎ, অগ্নাশয় প্রভৃতিতে জমে থাকে বলে সহজে এইসকল মেদ কমতে চায় না। পেটের এই মেদ হার্টের সমস্যা এবং ডায়বেটিসের সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী।
২০১৬ সালে ফার্মিংহাম হার্ট স্টাডির চলমান গবেষণায় ১০০০ জনের উপর করা একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, যারা যত বেশী মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন তাদের পেটের মেদ হবার সম্ভবনা তত বেশী।

৩/ আপনার কর্মশক্তি বেড়ে যাবে অনেক বেশী
বাড়তি চিনি মানেই বাড়তি শর্করা যা দ্রুত পরিপাক হয়ে আপনার রক্তের মধ্যে মিশে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করবে। তবে শরীরের মেটাবলিজমের কারণে কিছুক্ষণ পরেই সেই শক্তি চলেও যাবে।
তাই আপনার যখন কাজ করার জন্য বাড়তি শক্তি প্রয়োজন হবে তখন চিনিযুক্ত খবার এড়িয়ে গিয়ে হালকা ধরণের কোন নাস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে ফ্যাটের পরিমাণ কম এবং খাদ্য পরিপাক হতে অনেক সময় নেয়। তা অনেকটা সময় ধরে আপনাকে শক্তি দেবে।

৪/ স্থূলতার সম্ভবনা কমে যাবে
গবেষণায় দেখা গেছে যে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ যত বেশী হয়, ওজন বাড়ার সম্ভবনাও তত বেশী হয়ে যায়।
খুব সাধারণ একটা হিসাব হলো, প্রতি চা চামচ চিনিতে থাকে ১৬ ক্যালোরি। যা শুনতে খুব বেশী মনে না হলেও জেনে এবং না জেনে আমরা প্রচুর চিনি এবং চিনি জাতীয় খাদ্য খেয়ে ফেলি। যার ফলে সেটা অনেক বড় একটা ক্যালোরি পরিমাণে এসে দাঁড়ায়, যা আমাদের শরীরে প্রতিদিনের চাহিদার থেকে অনেক বেশী। এই সকল ক্যালোরি শরীরে জমে থেকে স্থূলতা এবং বাড়তি ওজনের সৃষ্টি করে থাকে।

৫/ আপনার হৃৎপিন্ড সুস্থ থাকবে
আপনার হৃৎপিন্ড সুস্থ থাকলে আপনি নিজে থাকবেন একদম সুস্থ। একদম সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মব্যস্ততা এবং কাজের চাপেও দিনশেষে আপনি থাকবেন একদম প্রাণবন্ত। তবে আপনার খাদ্যাভ্যাসে যদি চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাদ্য থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনার হৃৎপিন্ডের সমস্যার আশংকা বেড়ে যায় অনেকখানি। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও আপনার শরীরের অভ্যান্তরে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।

৬/ টাইপ-২ ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা কমে যাবে
গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে যে, চিনি খাওয়ার সাথে টাইপ-২ ডায়বেটিস তৈরি হবার সরাসরি কোন সম্ভবনা আছে কিনা। ২০১৪ সালের ১৭৫ টি দেশের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে দেশের মানুষেরা যত বেশী পরিমাণে চিনি জাতীয় খাদ্য খেয়ে থাকেন সে দেশের মানুষদের ডায়বেটিসের প্রকোপ তত বেশী।

নিজের সুসাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে নিজেকেই। তাই নিজের চেষ্টায় ধীরে ধীরে চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা কমিয়ে দিলে তার ফলাফলে নিজের জন্যেই ভালো হবে।
সূত্র: Health

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G