WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
শিশুদের তুলনা করা হয় কাদামাটির সাথে। কারণ আপনি তাদের যে শিক্ষা জন্মলগ্ন থেকে দিবেন, যতটাই বদলে যাক বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরিবার থেকে পাওয়া এই বেসিক শিক্ষাগুলো তার মধ্যে থেকেই যাবে।
তাই দৈনন্দিন রুটিনে খানিকটা সময় রাখুন গাছগাছালি এবং পশুপাখিদের জন্য।
-সকালে উঠে বাচ্চাদের নিয়ে বাগানে এবং টবের গাছে পানি দিন। একটা বা দুটো গাছ নির্দিষ্ট করে দিন বাচ্চাদের যত্ন করার জন্য। পানি দেওয়ার সময় পানির পরিমাণ, সারের পরিমাণ, সব ভাল করে বুঝিয়ে দিন।
-প্রতিমাসের প্রথম রবিবারে দেখুন কার গাছ কতটা বেড়েছে বা কার গাছে ক’টা ফুল ধরেছে। একটা ছোট্ট ঝোলানো গামলায় পানি ভর্তি করে বারান্দায় রাখুন পাখিদের জন্য।
-বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে বাচ্চাদের শেখান যত্ন নিতে, ওদের সঙ্গে খেলতে আর কথা বলতে। ভোরবেলা কাক, শালিকদের খাবার খাওয়াতে পারেন একসঙ্গে। বাড়তি খাবার বিলিয়ে দিন রাস্তার কুকুর, বিড়ালদের মধ্যে। এইভাবেই আপনার শিশু শিখে যাবে পরিবেশ এবং প্রাণীদের ভালবাসতে।
-শিশুকে ইকো ফ্রেন্ডলি করে তোলার প্রথম ধাপ হল মা-বাবার নিজেদের সচেতনতা। বাড়ির প্রত্যেকে পলিপ্যাক এবং প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা কমিয়ে দিন।
-কাগজের ব্যাগ বা বড় রুমালে মুড়ে টিফিন বক্স নিতে পারেন। রাস্তায় যেখানে সেখানে প্লাস্টিকের প্যাকেট বা কাগজ ছুঁড়ে না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলুন। যদি সম্ভব না হয় প্লাস্টিকের প্যাকেটটা মুড়ে বাড়িতে এনে তারপর ফেলুন।
-বাড়িতেও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে একই বিনে প্লাস্টিক ফেলবেন না। প্লাস্টিকের জন্য আলাদা বিন ব্যবহার করুন।এতে রিসাইক্লিংয়ে সুবিধা হয়। আপনার আচরণ থেকেই বাচ্চার পরিবেশ সচেতনতা গড়ে উঠবে।
-জন্মদিনের পার্টির থিম হতে পারে ‘নেচার’। বাড়ির বাগানে বা ইনডোর প্লান্টস দিয়ে সাজানো কোনও হলে পার্টিটা অ্যারেঞ্জ করুন।জন্মদিনে বা বিশেষ কোনও উপলক্ষে উপহার দিন বাহারি টবে ছোট্ট চারাগাছ। উপহার দেওয়ার সময় বুঝিয়ে দিন গাছটির বিশেষত্ব, তাতে কী রঙের ফুল ফুটবে, কীভাবে যত্ন নিতে হবে ইত্যাদি। সঙ্গে উপহার দিতে পারেন গাছ বা পশুপাখি সম্বন্ধীয় রঙিন ছবিওয়ালা বই। মেনুর মধ্যে রাখুন নানা ধরনের ফ্রুট জুস, ফ্রুট স্মুদি, ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ বা বার্গার, স্প্রাউটস, ফ্রুট স্যালাড, কাস্টার্ড ইত্যাদি। নিমন্ত্রিত খুদেদের বলুন নিজেদের পছন্দের গাছ বা প্রাণীর মত সেজে আসতে। পার্টি গেম হিসেবে রাখতে পারেন ‘নেচার ক্যুইজ’।
-এমন অনেক জিনিস আছে যা একাধিকবার নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে সাশ্রয় তো হবেই, বর্জ্য পদার্থও অনেক কমে যাবে। বাচ্চাদের রিসাইক্লিং ব্যাপারটা ভাল করে বোঝান। সাহায্য নিতে পারেন খবরের কাগজ, বই এবং ইন্টারনেটের।
-বাচ্চাদের মধ্যে অপচয় করার প্রবণতা বেশ দেখা যায়। সঠিকভাবে শুরু থেকেই তাদের নির্দেশনা দিলে তারা এই সমস্যাগুলো থেকে বের হয়ে আসে। অব্যবহৃত ডায়েরি, নোটপ্যাড নষ্ট না করে স্কুলের রাফ খাতা হিসেবে চলতে পারে। স্কুলের বইয়ের মলাট পুরনো হয়ে গেলে ছিঁড়ে না ফেলে গল্পের বই বা বাড়ির খাতাপত্রে লাগিয়ে দিন। এছাড়াও পুরোনো র্যাপিং পেপার ছিঁড়ে না ফেলে জমিয়ে রাখুন, যাতে পরে ব্যবহার করা যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন