WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

পেঁয়াজের দাম পাইকোরিতে কমলেও খুচরায় বেশি ! পেঁয়াজের দাম পাইকোরিতে কমলেও খুচরায় বেশি !

পেঁয়াজের দাম পাইকোরিতে কমলেও খুচরায় বেশি !

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০ সময়ঃ ২:৩২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৩২ অপরাহ্ণ

ভারত রফতানি বন্ধ করায় হুট করে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে গত দুই দিনে কিছুটা কমেছে। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বাড়তি দামেই খুচরা বিক্রেতারা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।

এদিকে পেঁয়াজের বাড়তি দামের সঙ্গে আগের মতই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এর সঙ্গে মুরগি ও ডিমের দামও চড়া। ফলে কয়েক মাস ধরে ভোগানো কাঁচাবাজার সাধারণ মানুষকে আরও বেশি ভোগাচ্ছে।

এ বিষয়ে রামপুরার বাসিন্দা খাদেমুল  বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়া ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। ২০০ টাকার সবজি কিনলে দুই দিনও যায় না। এখন পেঁয়াজের জন্যও বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বাড়ল।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে গত তিন দিনের মতো দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অপরদিকে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৭ টাকা। ভালো মানের আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

শ্যামবাজারের বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মো. কাজল বলেন, আজ কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ২ টাকা করে কমেছে। গতকাল ৫ টাকা কমেছিল। দুই দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭ টাকা কমেছে।

তিনি আরও বলেন, গত বুধবার মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৭ টাকা। ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। নিম্নমানের ভারতীয় পেঁয়াজ আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন ধরেই স্থির রয়েছে।

কাজল বলেন, আমরা বাইরে থেকে পেঁয়াজ আনি। প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম উঠা-নামা করে। আমরা চাই পেঁয়াজের দাম কমে যাক। কারণ দাম বাড়ার কারণে এখন আমাদের বিক্রি নেই হয়ে গেছে। দোকান খুলে মাল নিয়ে বসে থাকি ক্রেতা আসে না।

এই ব্যবসায়ী বলেন, গত বছরের মতো এবারও ভারত রফতানি বন্ধ করায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে এবার পেঁয়াজের দাম গত বছরের মতো অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার আশঙ্কা নেই। বরং ভারত পেঁয়াজ দিলে আগের দামে ফিরে আসবে বলে আমাদের ধারণা। আর ভারত পেঁয়াজ না দিলে বর্তমান দাম কিছুদিন স্থিতিশীল থাকবে।

পাইকারিতে দাম কমার পরও খুচরায় দাম না কমার কারণ হিসেবে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, দাম বাড়ায় গত মঙ্গলবার বেশি করে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। সেই পেঁয়াজ এখনো রয়েছে। দুই দিন শ্যামবাজারে যায়নি, তাই পাইকারিতে দাম কমেছে কিনা বলতে পারবো না। আমার যেহেতু বাড়তি দামে কেনা, তাই বাড়তি দামে বিক্রি করছি। কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারলে তখন কম দামে বিক্রি করবো।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, পাইকারিতে দাম কমেছে আপনাদের কাছেই শুনেছি। আমরা তো শ্যামবাজার থেকে ৮০ টাকার নিচে পেঁয়াজ কিনতে পারছি না। গত মঙ্গলবার ৮০ টাকা করে দেশি পেঁয়াজ কিনেছি। আজও ৮০ টাকা করে কেনা পড়ছে। এই পেঁয়াজের পেছনে অন্যান্য খরচ যোগ করে ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না।

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা। গত সপ্তাহেও এই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। তবে তার আগে ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছিল।

কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহেও এ সবজিগুলোর দাম এমন ছিল।

এছাড়া পটল, ঝিঙা, কাঁকরোল, লাউ, চিচিঙ্গা, বেগুন, কাঁচামরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. পিয়ারুল বলেন, দিন যত যাচ্ছে বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ তত বাড়ছে। এখন নতুন করে বন্যা বা টানা বৃষ্টি না হলে কয়েক দিনের মধ্যে সবজির দাম কিছুটা কমে যাবে। ইতোমধ্যে অনেক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহ দুই আগেও কোনো সবজি ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন অনেক সবজির কেজি ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতি / এডি/ রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G