বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনের বয়ান

প্রকাশঃ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭ সময়ঃ ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ইমান-আমলের ওপর প্রথম দিন বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ওবায়দুল খোরশেদ। বাংলায় তর্জমা করেন বাংলাদেশের মুরুব্বি মাওলানা মো. জাকির হোসেন। জুমার নামাজের পর বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা ওয়াসিকুর রহমান, বাদ আসর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আহসান ও বাদ মাগরিব মাওলানা শওকত। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বয়ানে বলা হয়, দুনিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান স্থান হলো মসজিদ আর সবচেয়ে কম দামি জায়গা হলো বাজার। যাঁরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন, তাঁদের জন্য বেহেশতে মহল তৈরি হয়। যে মসজিদকে ভালোবাসে, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাকে ভালোবাসেন। এ দুনিয়ায় যিনি একটি মসজিদ বানান, আল্লাহ তাঁর জন্য পরপারে একটি মহল বানাবেন। জুমার দিন একটি পবিত্র দিন। সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমার দিন। এটি হলো সবচেয়ে বড় ও সম্মানী দিন। এটি দুই ঈদের চেয়েও ফজিলতপূর্ণ। এ দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়। এদিনই দুনিয়া ধ্বংস হবে। এদিনে আল্লাহর কাছে যা চাইবে, আল্লাহ তা তাকে দেবেন। জুমার নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে গোসল-অজু করে মসজিদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকে তার নেকি লেখা হয়। আমরা যা করব আল্লাহকে রাজি করার জন্য করব। আল্লাহ পাকের হুকুমমতো আমরা যেন সারা জীবন চলতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ও সারা দুনিয়ায় মানুষের মাঝে দীন কায়েম করার জন্য ছড়িয়ে পড়তে হবে।

বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের ১৫-২০ জন শুরা সদস্য ও বুজর্গ বয়ান পেশ করবেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ হচ্ছে। বিদেশি মেহমানরা মূল বয়ান মঞ্চের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপাশে হোগলা পাটিতে বসেন। বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন করে মুরুব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শোনান।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
20G