WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

'মামলা করতে পারেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট' 'মামলা করতে পারেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট'

‘মামলা করতে পারেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট’

প্রথম প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

kamal 2প্রথা ভেঙে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বিজয়ী দলের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন।

অথচ নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির সভাপতি হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের।

শুধু তাই নয় অাইসিসি সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বকাপের ট্রফি মঞ্চেই ছিলেন না তিনি।

আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামালের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আরো উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। ঢাকা ফিরে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) -এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যেতে পারেন বলেও জানাচ্ছে এই পত্রিকা।

কুটিল প্রকৃতির লোক শ্রীনিবাসনের কারণেই যে এটি হয়েছে তা আনন্দবাজারের প্রতিবেদন পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

এখানে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো:

আইসিসি-র সমস্ত অভ্যাগত, বিশেষ অতিথি সবাই বসলেন এমসিজি মাঠের তিন নম্বর গেটের চার তলায়। ওখানে আইসিসি-র ভিভিআইপি বক্স। আর তিনি আইসিসি প্রেসিডেন্ট কিনা বসলেন ছয় নম্বর গেটে একা একটা বক্সে।  তার পর সরে এলেন আইসিসি বক্সের নীচের গ্যালারিতে। ওখানে বসেই দেখলেন পুরস্কার বিতরণ শুরু হচ্ছে।

নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের হাতে  ওয়ার্ল্ড কাপ তুলে দেওয়ার সময় পর্যন্ত তিনি অবশ্য আর অপেক্ষা করেননি। অপমানে আগেই বেরিয়ে যান। জানা হলো না গোটা এমসিজি যখন শ্রীনিবাসনের নাম ঘোষণা হতেই বিদ্রুপে ফেটে পড়ল, তখন তিনি আইসিসি প্রেসিডেন্ট কোথায় ছিলেন?

বাংলাদেশ ক্রিকেটমহল তাদের দেশের আইসিসি প্রেসিডেন্টকে পুরস্কার বিতরণ থেকে কার্যত সাসপেন্ড করায় অত্যন্ত উত্তেজিত। কারণ আইসিসি-র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকাপ তুলে দেওয়ার কথা কামালের। আইসিসি প্রেসিডেন্টের।

“এটা ওরা করতে পারে না। কতগুলো বাজে লোক জুটে এটা করল যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ,” রোববার একলা বসে বললেন কামাল। “এদের সঙ্গে কী করে এক বক্সে বসব, তাই আলাদা বসে রয়েছি,” বললেন তিনি। শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি পেলে এ নিয়ে আইসিসির কাছে বাংলাদেশ সরকারও অভিযোগ জানাতে পারে। চূড়ান্ত ছবিটা বোঝা যাবে সোমবার যে, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।

বিশ্বকাপ দেওয়া নিয়ে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু বোঝা যায়নি সেটা এই পর্যায়ে নামতে পারে। জানা গেল শনিবার রাত্রে আইসিসি-র জনা কয়েক সদস্যকে নিয়ে বেসরকারি বৈঠক করেন শ্রীনিবাসন। সেখানেই বলে দেন কামালকে যে, আইসিসি-র কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙার অভিযোগে আপনাকে আমরা ট্রফিটা দিতে দেব না।

কামাল অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন, মিস্টার শ্রীনিবাসন, আজকের দিনে আইসিসি প্রেসিডেন্ট কে? শ্রীনি বলেন, আপনি। কালকে আইসিসি প্রেসিডেন্ট কে থাকবে? শ্রীনি বলেন আপনি।

তাই যদি হয় তা হলে আমি বিশ্বকাপ তুলে দেব না কেন? শ্রীনি তখন বলেন, উত্তরটা আপনাকে আগেই দেওয়া আছে।

এই সময় নাকি তীব্র বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। শ্রীনি এই বিতর্ক নিয়ে এবিপিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। বলেন, “এটা থাক। বাংলাদেশ ম্যাচে কী হয়েছিল আপনারা সবাই খেলা দেখেছেন। আমি এর মধ্যে ঢুকব না।”

শোনা যাচ্ছে, মুস্তফা কামাল মোটেও সহজে হার মানেননি।  তর্কাতর্কির মধ্যে আইসিসি প্রেসিডেন্ট রীতিমতো আইসিসি চেয়ারম্যানকে শাসান। “আপনি এমন কোনো বেআইনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তা হলে আইসিসি-র গঠনতন্ত্র বদলাতে হবে।” শ্রীনি তাতেও প্রভাবিত নন দেখে তাকে বলা হয়, “এতে কিন্তু আগুন জ্বলে যাবে। আপনি বুঝতে পারছেন না কী করতে যাচ্ছেন!”

কিছু পরে বাংলাদেশ বোর্ড প্রেসিডেন্টও শ্রীনির সঙ্গে দেখা করে তাদের তীব্র আপত্তির কথা জানান। বাংলাদেশের তরফে বলা হয় আইসিসি-কে আড়ালে আবডালে বলা হয় ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। আজকের পর থেকে তো আরওই বলবে। শ্রীনি তাতেও কর্ণপাত করেননি। তার সঙ্গে আইসিসি-র অন্য কর্তারাও না। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের পর আইসিসি প্রধানের আম্পায়ারিং নিয়ে তীব্র কটূক্তি ডেভ রিচার্ডসন-সহ আইসিসি কর্তারা কেউ ভুলতে পারছেন না। তারা মনে করেন, এর ফলে প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার অবমাননা হয়েছে।

আইসিসি প্রেসিডেন্টের পাল্টা বক্তব্য, কেন তিনি কী বলেছেন তা তো আগে তাকে জবাবদিহি করে তার বক্তব্য শুনতে হবে। এক্সিকিউটিভ বোর্ড তার বক্তব্য খতিয়ে বিচার করে গঠনতন্ত্র বদলাবে, তবে তো তাকে সরানোর প্রশ্ন। রাতে দেখা হতে বললেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলব। ঢাকা ফিরে আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব, তার পর দেখছি।” শোনা গেল প্রয়োজনে আইসিসি-র বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে পারেন।

কিন্তু এত অপমানিত যখন, মাঠে এলেন কেন? বাংলাদেশ ক্রিকেট মহলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বললেন, “আসাটা আইনজীবীর পরামর্শে যে, আমি তখন সশরীরে মাঠে অথচ আমাকে প্রাইজ দিতে ডাকেনি।” বাংলাদেশে ইতিমধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে তাদের লোককে গা-জোয়ারি করে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে সরিয়ে রাখছে। এতে ক্রিকেট মহলের ভারত-বিরোধী অসন্তোষ আরও বাড়ার কথা।

মুস্তফা কামালের আম্পায়ারিং নিয়ে মন্তব্য করা অত্যন্ত অসমীচীন হয়েছে এটা যারা মনে করেন তাদেরও বক্তব্য, আইসিসি কেন তা হলে ওনাকে শো কজ করল না? বেসরকারি বৈঠক করে এভাবে বাদ দেওয়াটা তো বেআইনি? সেই দাদাগিরি ভারত করবে কেন? আর তাদের করতে দেওয়াই বা হবে কেন?

বিশ্বকাপ ফাইনাল যেমন একতরফা হলো, এই ম্যাচটা তত সহজে নিষ্পত্তি হবে বলে মনে হয় না।

ভারতের বাংলাদেশ সফর করার কথা আগামী জুনে। কিন্তু দু’দেশের ক্রিকেট প্রশাসনিক সম্পর্ক যেমন তিক্ততার স্তরে পৌঁছেছে, তাতে সফরটা হবে কি না এই মুহূর্তে ঘোরতর অনিশ্চিত।

প্রতিক্ষণ/এডি/মারুফা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G