মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ

প্রকাশঃ মার্চ ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ৪:২৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:২৭ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষন ডট কম

MANGO20141019165455 (1)গাছে গাছে মুকুল। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ।মৌমাছিরাও ব্যস্ত মধু আহরণে।

এইবার নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। তাই বাগান মালিকরাও পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন।

বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। আম বলতে এক সময় উত্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীকেই বোঝাত। কিন্তু এখন অবস্থা অনেকটা ভিন্ন।

গত বছর আবহাওয়ার কারণে আমচাষী ও আগাম আমবাগান ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার মুকুলের ভারেই আমগাছের ডাল নুইয়ে পড়ছে। চলতি মৌসুমে যদি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে।

১৫শ টাকা মণ দরে বিক্রি হলে ১৫০ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হবে। ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা কৃষি উৎপাদনে একের পর এক লোকসানের মুখে পড়ায় গত একযুগ ধরে নতুন নতুন আম ও লিচু বাগান তৈরি হচ্ছে। নতুন পুরাতন মিলে এবার সব বাগানেই মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে আমগাছ।

এখন আমচাষীরা মুকুল যাতে কুয়াশা ও পোকার আক্রমণে নষ্ট না হয় এজন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ স্প্রে করে চলেছেন। মাটি ও আবহাওয়াগত কারণেই ঠাকুরগাঁও জেলার আমের খ্যাতি প্রাচীনকাল থেকে।
জেলায় সুস্বাদু আমের মধ্যে রয়েছে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, খিরসাপাতি, আম্রপলি, চন্দনখোসা, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই, বেকি।

নব্বই দশকে ঠাকুরগাঁও আমবাগান ছিল ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। গত একযুগে এখানে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন নতুন আমের বাগান গড়ে উঠেছে। আগে একটি বাগানে বিভিন্ন জাতের আমগাছ লাগানো হতো। এখন যেসব বাগান তৈরি হচ্ছে তা যেকোনো একটি জাতের গাছে। হিমসাগর আর আম্রপালি জাতের আমের বাগান বেশি তৈরি হচ্ছে।

গত তিন-চার বছর আগেও আমের অফ ইয়ার অন ইয়ার ছিল। যে বাগানে একবছর আম ধরেছে, পরের বছর সেই বাগানে আম ধরত না। এখন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগের ফলে প্রতিটি বছরই আমের অন ইয়ার হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে মুকুল আসার আগেই বাগান বিক্রি হয়ে যায়। এবারও ব্যাপক মুকুল আসার কারণে বাগানগুলোর দাম বেশি হাঁকছে মালিকরা।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, জেলায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে এবার ১৫০ লাখ মণ আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গড়ে প্রতি মণ আম ১১শ টাকা করে বিক্রি হলে দেড়শ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হবে। মাটি ও আবহাওয়াগত কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের আম সুস্বাদু।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/রবি

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
20G