রাবির নতুন হলে ফাটল

প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ২৭, ২০১৫ সময়ঃ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৫১ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিনিধি:

11186400_1592615627645255_2139484134_nরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি)নতুন নির্মিত মতিহার হলে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ভবন নির্মাণে যেসব ঠিকাদার ও প্রকৌশলী যুক্ত আছে তাদের শাস্তির দাবিসহ মোট তিন দফার দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর ১টায় সময় হলের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করে।

শিক্ষার্থীদের অন্য দুই দাবি হলো-দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ মতিহার হল ভেঙে এখানে পুনরায় ভবন নির্মাণ করা এবং আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা।

মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানা। এ সময় মানববন্ধনে তিন দফার একটি স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বোরহান হোসেন বাপ্পী।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এখানে অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান করি। কিন্তু এই ঝুঁকিপূর্ণ নির্মানের কারণে আমরা এই হলে থাকতে সবসময় শঙ্কিত থাকি। নির্মাণের শুরুতেই এই ভবনে ফাটল ধরেছিলো। আবার পরপর ঘটে যাওয়া এই সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে আরো ফাটল দেখা দিয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘ফাটলের এই বিষয়টি প্রশাসনের কাছে জানালে তারা এসে সেখানে হালকা বালু মাখিয়ে রং করে চলে যায়।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ওই তিন দফার দাবি নিয়ে স্মারকলিপিটি উপাচার্যের নিকট পেশ করেন।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের পশ্চিম ব্লকের বিভিন্ন রুমে, ছাদে, সিঁড়ি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ভবনের দেওয়ালে হালকা আঘাত করলেই এর পলেস্তারা খসে পড়ছে। এই অবস্থায় আবার ভবনের চতুর্থ তলায় নির্মাণ কাজ চলছিলো।এসময় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা গিয়ে শ্রকিকদের বাধা দিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে হলের পূর্ব ও পশ্চিম ব্লকের নিমার্ণ কাজ চলে আসছে। এখন দুটি ব্লকেরই ৪র্থ তলার কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর বলেন, আমরা হলের ভবন ঘুরে দেখেছি। কিছু জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। কিন্তু সেগুলো গুরুতর নয়। শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় নিমার্ণকাজে বিভিন্ন ঠিকাদার কাজ করেছে। তবে যেহেতু ঠিকাদারে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাই বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/নুর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G