WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
লাইফষ্টাইল ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
আপনার বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর কোঠায়। কিন্তু ওজন ৯০ থেকে ১০০ কেজি বা তারও বেশী। আপনি এই অতিরিক্ত ওজনের জন্য স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। একটুতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। পছন্দের পোশাকটি পরতে পারেন না। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানান রোগ ব্যাধি। সমস্যার শেষ নেই। অতিরিক্ত ওজনের নারী-পুরুষদের হরহামেশাই এমন নানা সম্যসায় পড়তে দেখা যায়।
স্মিম ইজ স্মাট! বাড়তি ওজন মানেই বাড়তি টেনশন। ডায়েট, সকালে-বিকেলে ব্যায়াম বা ঘাম ঝরিয়ে কতভাবেই না মানুষ ওজন কমাতে চান।
চলুন তাহলে জেনে নিই কিভাবে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো যায় সে সম্পর্কে।
পানি :
ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকর। শুধু পানি খেতে ভাল না লাগলে অল্প লেবু বা শসা বা টমেটোও যোগ করে নিতে পারেন। এতে বেশী ক্যালরি যোগ হবে না, তবে অন্যরকম ফ্লেভার পাবেন। এ ছাড়া সবজির শরবত পান করতে পারেন। এতে যেমন দরকারি আঁশ থাকে, তেমনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পুষ্টিও পাওয়া যায়। যা শরীরের জ্বালানী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, সোডিয়ামও থাকে কম। ফুড প্ল্যানিং এ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের সহযোগী গবেষণা পরিচালক মোস্তফা ফারুক আল বান্না বলেন, ‘চিনিমুক্ত চা, বিশেষ করে সবুজ চা শরীরকে সজীব করে তোলে। এটি শরীরকে খুব তাড়াতাড়ি চাঙা করে, ফলে আপনি পাবেন ঝরঝরে অনুভূতি।’
খাওয়া শুরুর আগে ১/২ গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতে পেট ভর্তি থাকবে। খাবার কম খাবেন, ফলে ওজন কমবে। খাওয়ার মাঝে পানি খাবেন না। এটি হজমে সমস্যা করে। হজম ভাল না হলে ওজন বাড়বে।
দ্রুত খাবেন না :
আস্তে আস্তে সময় নিয়ে খান। বেশী সময় নিয়ে খেলে ক্ষুধা কমে যায়। ফলে কম খাওয়া হয়। একবারে বেশী খাবেন না। একবারে বেশী খেলে শরীরে দ্রুত চর্বি জমে, কেননা খাবার হজম হয় না ভালভাবে। সারাদিনে অল্প পরিমাণে ৪/৫ বার খান।
শ্বেতসার কম খান :
কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসার অর্থাৎ ভাত/রুটি কম খাবেন। সবজির পরিমাণ বেশী রাখুন। নাস্তার সময় ফল খান, তেলে ভাজা খাবার বাদ দিন।
আঁশ জাতীয় খাবার :
ফাইবার বা আঁশ বাড়তি খাদ্য উপাদান শুষে নেওয়ার কাজ করে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ালে দেহে মেদ জমতে পারে না। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ভুট্টা ও কমলালেবু জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। খাদ্য তালিকায় এই ধরনের খাবারের মাত্রা বাড়ান।
ডিম খান :
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ডিম রাখুন। যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী। ডিম প্রোটিনের ভাল একটি উৎস, অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে কম খাওয়া হয়।
ভিটামিন ডি :
ভিটামিন ডি ওজন কমানোর ভাল উপাদান। সকালের রোদ দেহে ভিটামিন ডি সরবরাহ করে। যা বাড়তি মেদ দূর করতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠে রোদের আলোয় বের হওয়ার অভ্যাস করুন।
ঘুম :
ওজন কমানোর জন্য ঘুমের প্রয়োজন অনেক বেশী। বেশী ঘুমালে যেমন ওজন বাড়ে ঠিক তেমনই কম ঘুমালেও ওজন বাড়ে। তাই প্রতিদিন পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস ওজন বাড়তে বাধা দেয়।
খাওয়ার সময় টিভি দেখা নয় :
অনেকেই টিভির সামনে বসে খান যা ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী। টিভির সামনে বসে খাওয়া শুরু করলে কোনো হিসেব থাকে না। এ ছাড়া টিভির সামনে বসে বেশীরভাগ সময় হালকা মেজাজে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়।
মাংসে সবজি যোগ করুন :
কেউ কেউ মাংস রান্না করলে শুধু ভুনা বা ঝোল করেন। মাংসের সঙ্গে সবজি ব্যবহার শুরু করুন। যা মাংসের ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে। স্বাদেও আসে ভিন্নতা।
স্যুপ ও সালাদ :
এ জাতীয় খাবার দেহে কম ক্যালরি সরবরাহ করে। সাধারণভাবে তৈরি ঘরোয়া সালাদ খান। বিকেলের নাস্তায় কোনো প্রকার তেলে ভাজা খাবার খাবেন না।
তাহলে আজ থেকে খাদ্যাভাস ও কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনুন। ওজন কমিয়ে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শিমু