পিবিআই চট্টগ্রামের শিশু আয়াতের মাথা উদ্ধার করেছে

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১, ২০২২ সময়ঃ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার ৫ বছর বয়সী শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতের মাথা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর আউটার রিং রোড এলাকার আকমল আলী ঘাটের খালের অংশ থেকে অর্ধগলিত ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার আয়াতের দুই পায়ের খ-িত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোজ দে জানান, আসামি আবীরের দেখানো জায়গায় খালের অংশবিশেষ সেচ করে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের জন্য এটি পাঠানো হবে।
এদিকে, শিশু আয়াতের চেহারা দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন তার বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা, দাদাসহ স্বজনেরা।

গত ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকায় বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় আলীনা ইসলাম আয়াত। এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর রাতে তাদের ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ১৯ বছর বয়সী ছেলে আবীর আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে সে আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন লাশ টুকরোর কাজে ব্যবহৃত দা ও আয়াতের পায়ের জুতা উদ্ধার করা হয়।

পিবিআইয়ের ভাষ্যমতে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আবীর। ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাসার সামনে থেকে আয়াতকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবীর ঢুকে যায় তার বাবার বাসায়। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধ করে সে আয়াতকে খুন করে। এর পর লাশ ব্যাগে ভরে নিয়ে যায় নগরের আকমল আলী সড়কের পকেট গেট বাজার এলাকায় তার মা আলো বেগমের বাসায়।
মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদের পর আবীর মায়ের বাসায় থাকত। বাবার বাসায়ও তার যাতায়াত ছিল। আবীর মায়ের বাসায় নিয়ে লাশ বাথরুমের সানশেডের ওপর লুকিয়ে রাখে। রাতেই ওই লাশ বাথরুমে নিয়ে কেটে ছয় টুকরো করে ছয়টি ব্যাগে ভরে রাখে। পরে ১৬ নভেম্বর সকালে লাশের তিনটি টুকরো আউটার রিং রোড এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের স্লুইচগেট এলাকায় ফেলে দেয়।

আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকা-ের ঘটনায় করা মামলায় গত শনিবার প্রথম দফায় ২ দিনের রিমান্ডে আবীরকে নিয়ে শিশু আয়াতের মরদেহের খ-িত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে সোমবার আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নেয়া হয়।

আবীরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার আরেক বন্ধু হাসিবকেও আটক করে পিবিআই। হাসিব চায়ের দোকানে কাজ করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় আবীরের বাবা-মা এবং বোনকে হত্যাকা-ে দায়ের হওয়ায় মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সূত্র : বাসস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G